হঠাৎ করেই যেন পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়ে গেল। রসে নয়, দামে। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে যে পেঁয়াজ ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত, সেটা এখন প্রতি কেজি ৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। দেশি পেঁয়াজের বিকল্প ভারতীয় পেঁয়াজের দামও চড়া।
আদা ও রসুনের দাম অনেক আগে থেকে নাগালের বাইরে। দেশি ও আমদানি—দুই ধরনের রসুনের দামই প্রায় সমান। ঈদের আগেও কিছুটা সস্তা ছিল দেশি রসুন, সেটাও এখন চীনা রসুন ছুঁই–ছুঁই।
চীনা আদা ১৬০-১৮০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও ইন্দোনেশিয়ার আদা কিনতে লাগছে কেজিপ্রতি ২০০ টাকা। দেশি আদা বাজারে নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুরের আনসার ক্যাম্প এলাকা, পশ্চিম শেওড়াপাড়া ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারে বিক্রেতারা এখন দেশি পেঁয়াজ দুটি ভাগে ভাগ করে বিক্রি করছেন। বড় আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকা দরে। বাকি পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। অবশ্য কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানে প্রতি পাঁচ কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫০ টাকা চান বিক্রেতারা, এতে কেজি পড়ে ৫০ টাকা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দাম ২৪ শতাংশ ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাড়ল কেন, জানতে চাইলে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারভিত্তিক আমদানিকারক আবদুল মাজেদ বলেন, ভারতে দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাই দেশেও বেড়েছে। দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহও কম।
ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে গতকাল প্রকাশিত এক খবর অনুযায়ী, দেশটির পেঁয়াজ সরবরাহকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশ বন্যার কবলে পড়েছে। এতেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।
মহারাষ্ট্রের নাসিকে এশিয়ার সবচেয়ে বড় পাইকারি পেঁয়াজ কেনাবেচার কেন্দ্র লাসালগাঁওয়ে গত মঙ্গলবার পেঁয়াজ গড়ে ২২ রুপি কেজি দরে বিক্রি হয়, যা এক মাস আগে ১২ রুপি ছিল।
শ্যামবাজারে ঈদের আগে দেশি রসুনের কেজি ছিল পাইকারি ১০৫-১১০ টাকা। এখন সেটা ১৩০ টাকায় উঠেছে। অবশ্য চীনা রসুন কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৩৫-১৪০ টাকায় নেমেছে। খুচরা বাজারে ঈদের আগে চীনা রসুন মানভেদে ১৬০-১৮০ টাকা ছিল। আর দেশি রসুন ছিল ১৪০ টাকার আশপাশে। এখন দুটিই ১৮০ টাকা কেজি।
চিনির দামও বাড়তি। কেজিপ্রতি তিন থেকে চার টাকা বেড়ে চিনির দাম উঠেছে ৫৮-৬০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। ঈদের আগে চাহিদা না থাকায় মুরগি কেজিপ্রতি ১১০ টাকায় নেমেছিল। এখন আবার বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠেছে। চাল, ডাল, আটা, সবজি ইত্যাদির দামে তেমন কোনো হেরফের নেই।
NB:This post is copied from prothomalo.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা