অনলাইন ডেস্ক
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর এই প্রথম নির্জোট সম্মেলনে বা ন্যাম সামিটে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি একমাত্র ভারতীয় পূর্ণাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী যিনি ২০১৬ সালে ওই সামিটে অংশ নেননি। ২০১৯ সালেও একই ঘটনা ঘটেছিল।
তাই এইবার তাঁর উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এদিনের বৈঠকে করোনা মহামারি রুখতে ভারতের কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন ন্যাম-এর বর্তমান চেয়ারম্যান আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস এবং হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বদলে ন্যাম সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানের বাকুতে গিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই নন।
এর আগে ১৯৭৯ সালে ন্যাম সামিটে যোগ দেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চরণ সিং। কিন্তু সে অর্থে মোদির সঙ্গে তাঁর তুলনা টানা যায় না। কারণ, সিং মূলত ছিলেন ‘তত্ত্বাবধায়ক’ বা ‘কেয়ারটেকার’ প্রধানমন্ত্রী।
আর সে কারণেই নির্জোট সম্মেলনে মোদির না যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি জাতিবিদ্বেষ, ঔপনিবেশিকতার মতো ‘চ্যালেঞ্জ’ প্রতিহত করতে কিছু দেশের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে যে ন্যাম প্রতিষ্ঠা করেছিল ভারত, তার কাছেই আজ আর এই সংগঠনের কোনও গুরুত্ব নেই?
যে সময় এবং পরিস্থিতিতে নাম গড়ে তোলা হয়েছিল, তার বেশিরভাগই আজ অপ্রাসঙ্গিক। বরং বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সন্ত্রাসবাদ। আর মোদি সরকার মনে করে, ন্যামের মতো সংগঠনের মাধ্যমে সেই সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়। সে কারণেই সম্ভবত নির্জোট সম্মেলন ভারতের মতো দেশের কাছে অনেকাংশেই গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। তবে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের মতো দেশের কাছে এই সংগঠনের গুরুত্ব এখনও আগের মতোই আছে।
তবে করোনা পরিস্থিতিতে ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে ন্যাম বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা