ফাইল ছবি।
কেবল আমাদের দেশে নয়, আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও দেখেছি যে, শিশু ও নারীদের ওপর নির্যাতন মানসিক রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। তাই নারী-পুরুষ প্রত্যেককেই সচেতন থাকতে হবে, যাতে কোন শিশু ও নারী নির্যাতিত না হয়।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রোকেয়া দিবস উপলক্ষে রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর : বাসস এর।
মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোকেয়া পদক-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে যাতে শিশু ও নারীরা সুরক্ষিত থাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, মূলত পুরুষরাই নারীদের ওপর নির্যাতন চালায়। তাই তাদের চিন্তা করা উচিত যে, তাদেরও মেয়ে শিশু রয়েছে এবং তাদের সন্তান যদি অন্য কারো দ্বারা নির্যাতিত হয় তাহলে তারা কী করবে। সে কারণেই এ ব্যাপারে সচেতনতা খুবই জরুরি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নারী ও সামাজিক উন্নয়নে তাদের অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিতে পাঁচজন গুণী নারীকে রোকেয়া পদক-২০১৯ প্রদান করেন। এবছর পদকপ্রাপ্তরা হচ্ছেন নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে সেলিনা খালেক, নারী শিক্ষায় অধ্যক্ষ শামসুন নাহার, নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ড. নূরুন নাহার ফয়জুন্নেছা (মরণোত্তর), নারীর অধিকার পাপড়ি বসু এবং নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য আখতার জাহান এ পদক পেয়েছেন। রোকেয়া পদক গ্রহণকারীদের পক্ষে বেগম সেলিনা খালেক পদক গ্রহণের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা। মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার স্বাগত বক্তৃতা এবং রোকেয়া পদক বিরণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
নারী পুনর্জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৩৯তম জন্ম এবং ৮৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হচ্ছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা