অনলাইন ডেস্ক
প্যারিস অলিম্পিকের দ্রুততম মানব হয়েছেন আমেরিকার নোয়া লাইলস। ছেলেদের ১০০ মিটার দৌঁড়ে ৯.৭৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। মাত্র ৫ মাইক্রোসেকেন্ডের জন্য এই খেতাব পেলেন না জ্যামাইকান কিশানে টম্পসন। বিজয়ী ঘোষণার পর দেখা যায় লাইলস সময় নিয়েছেন ৯.৭৮৪ সেকেন্ড অন্যদিকে টম্পসনের লেগেছে ৯.৭৮৯ সেকেন্ড। আর ৯.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন আরেক মার্কিন স্প্রিন্টার ফ্রেড কার্লি। টোকিও অলিম্পিকের দ্রুততম মানব মার্চেল ইয়াকবস হয়েছেন পঞ্চম।
এমন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই শেষে লাইলস বলেন, ‘এই পদকটা আমি চেয়েছি, কী কঠিন লড়াই হলো, প্রতিদ্বন্দ্বীরাও অবিশ্বাস্য ছিল। সবাই প্রস্তুত হয়েই এসেছিল আর আমি শুধু এটিই প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম তাদের সবার মধ্যে আমি সেই মানুষ, নেকড়ের মধ্যে আমিই সেই নেকড়ে।’
দীর্ঘ দিন পর আমেরিকা ১০০ মিটারে পেল স্বর্ণ জয়ী। ২০০৪ সালে জাস্টিন গ্যাটলিন শেষ বার স্বর্ণ জিতেছিলেন। তার পরে পেলেন নোয়া। ১৮৯৬ সালে অলিম্পিক্স শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথম তিনবার স্বর্ণ জিতেছিল আমেরিকাই। ১০০ মিটারে ১৬টি সোনা রয়েছে আমেরিকার। এই দাপট বিশ্বের আর কোনো দেশের নেই। মাঝে জামাইকার কাছে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। সেই দাপট আবার ফেরালেন নোয়া।
২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অলিম্পিক্সে একচ্ছত্র দাপট ছিল জামাইকার। বলা ভালো উসাইন বোল্টের। অলিম্পিক্সে টানা তিনবার সোনা জিতেছিলেন তিনি। টোকিও অলিম্পিক্সের আগে বোল্ট অবসর নিয়েছিলেন। জামাইকারও কেউ প্রথম তিনে শেষ করতে পারেননি। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিক্সের আগে আশা তৈরি হয়েছিল কিশানেকে নিয়ে। বছরের সেরা সময় ছিল তারই। পাশাপাশি অবলিক সেভিলও আশা জুগিয়েছিলেন। প্রথম রাউন্ড এবং হিটে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছিলেন কিশানে। ফাইনালে আর একটু হলেই সোনা উঠতে পারত তার গলায়। তা হলো না।