অনলাইন ডেস্ক
দেশের উত্তর জনপদে তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। জেঁকে বসেছে শীত। অব্যাহত রয়েছে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এরই মধ্যে তারমাত্রার পারদ ১০ ঘরে নেমে এসেছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস যোগ হওয়ায় জেলাজুড়ে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
আজ (শনিবার) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাপমাত্রা কমায় গত কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। রাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। এর সঙ্গে হিমবাতাস যোগ হওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নি¤œ আয়ের মানুষ। তবে দুপুরের দিকে সূর্য ওঠার পর থেকে কিছুটা কমতে থাকে শীত।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আজ শনিবার সকাল ৬ টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।
এদিকে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।