পেশাগত অসদাচরণ, শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত প্রসিকিউশন টিমের মামলা ও অন্যান্য কাজ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ। এস এম নাহিদা নাজমীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচরণের দায়ে ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনে প্রদত্ত নিয়োগ বাতিলক্রমে প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
আরও পড়ুন : বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত হলেন নজরুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হককে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলার প্রসিকিউটর ছিলেন ব্যরিস্টার তুরিন আফরোজ এবং তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান। ২০১৭ সালে তদন্ত শুরু হওয়ার পর ১১ নভেম্বর তুরিন আফরোজকে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়।
অভিযোগ ওঠে, ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতারের আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তুরিন আফরোজ প্রথমে তাকে টেলিফোন করে দেখা করার সময় চান। এরপর গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে গোপন বেঠকও করেন তিনি।তুরিনের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ওইসব অডিও রেকর্ড আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু।এরপর তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১৮ মাস তদন্ত সম্পন্ন করে তুরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার এ আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয়।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, দুটি অডিওর মধ্যে একটি টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ড। এটার দৈর্ঘ্য চার মিনিটের মতো। অন্য অডিওটি ওই গোপন বৈঠকের, প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টার মতো। টেলিফোনে কথা হয় ২০১৭ সালের ১৮ নভেম্বর আর বৈঠকটি হয় ঢাকার অলিভ গার্ডেন নামে একটি রেস্তোরাঁর গোপন কক্ষে পরদিন ( ১৯ নভেম্বর)। সেখানে তুরিন আফরোজ, তার সহকারী ফারবি, আসামি ওয়াহিদুল হকসহ মোট পাঁচজন ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সিনিয়র সমন্বয়ক এম. সানাউল হক বলেন, টেলিফোন রেকর্ডে তুরিন আফরোজ জানিয়েছেন যে, তিনি বোরকা পরে ওই হোটেলে যাবেন। তার সঙ্গে থাকবে সহকারী ফারাবি, যাকে তিনি নিজের স্বামী পরিচয়ে সেখানে নিয়ে যাবেন।
এ-সংক্রান্ত দুটি অডিও রেকর্ড পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার হাতে এলে তা ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরকে হস্তান্তর করা হয়। অডিও রেকর্ড দুটি ওয়াহিদুল হক গ্রেফতার হওয়ার পর তার মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়।
ফেসবুক পেজ
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা