দেশের প্রথম মেট্রোরেলের প্রথম কোচ ঢাকায় আনা হয়েছে। সোমবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোতে কনটেইনার থেকে বের করে নতুন কোচটির মোড়ক খোলা হয়েছে।
তবে এটি যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হবে না। প্রদর্শনী এবং সাধারণ মানুষকে মেট্রোরেলে চড়তে শেখাতে এই কোচটি ব্যবহার করা হবে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এন এম ছিদ্দিক জানান, জাপানের মিৎসুবিশি ও কাওয়াসাকি থেকে কোচটি তৈরি করা হয়েছে। মূল কোচগুলোর আদলেই তৈরি কোচটি যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার হবে না। স্রেফ প্রদর্শন করা হবে।
উত্তরায় মেট্রোরেলের যে তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে এটি সাধারণ মানুষকে দেখানো ও শেখানোর জন্য রাখা হবে। সেখানে দর্শনার্থীদের টিকেট কাটা, ট্রেনে চড়া, দাঁড়ান, ট্রেন থেকে নামাসহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে। আগামী মাস থেকেই কোচটি প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ডিএমটিসিএল পরিচালক আরো জানান, মেট্রোরেলের মূল কোচগুলো জাপানে তৈরি হচ্ছে। আগামী ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে। দেশে আসার পর এগুলো অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার (ওসিসি) এর সঙ্গে মিলে চলতে পারছে কিনা তার জন্য ট্রায়াল রান দেওয়া হবে।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম মানুষ মেট্রোরেল চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডিএমটিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। সেই লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখেই কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এমটিসিএল জানিয়েচে, বাংলাদেশর জাতীয় পতাকার রঙে সাজানো থাকবে মেট্রোরেল। অর্থাৎ কোচে লাল সবুজের প্রলেপ থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশে ব্যবহার উপযোগি করতে পুরো ট্রেন সেট স্টেনলেস স্টিলের করা হয়েছে। আর কোচের গ্লাসের অংশ বুলেটপ্র্রুফ।
একেকটি কোচে ১ হাজার ৭৩৮ জন যাত্রী একবারে যাতায়াত করতে পারবেন। দাঁড়িয়ে যাতায়াতের জন্য থাকবে সু ব্যবস্থা। প্রতিটি কোচের দুদিকে চারটি দরজা থাকবে। সিটের ধরন হবে লম্বালম্বি একই সাথে প্রতিটি ট্রেনে দুটি হুইলচেয়ার পাশাপাশি রাখার ব্যবস্থা থাকবে।
প্রতিটি ট্রেনে থাকবে ছয়টি কোচ। এরমধ্যে একটি কোচ শুধুমাত্র নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকি সবগুলোতে নারী-পুরুষ একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারবেন।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা