অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার (১৪ মে) তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা দুই রোগীর শরীরে আমরা করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) পেয়েছি। তাদেরসহ ভারত থেকে আসা সব রোগীকেই কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ পাওয়া দুজনের নমুনা বক্ষব্যাধি হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সময়টা যেহেতু চ্যালেঞ্জিং এবং কোভিড রোগীদের নিয়ে আমরা কাজ করছি, তাই প্রতি মুহূর্তেই নিজেদেরই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমাদের সবারই করোনা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, মাস্ক পরতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভারতে প্রথম শনাক্ত ‘বি.১.১৬৭’ নামে করোনার ধরনটি এরই মধ্যে বিশ্বের ৪৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ধরনটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বিশ্ববাসীকে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ।
করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি (ধরন) ‘বি.১.১৬৭’ যা অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ভ্যারিয়েন্টের ভূমিকা রয়েছে বলেও ভাবা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমও দেশে ভারতীয় ধরন পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা ভারত থেকে ফিরেছেন। তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সেটি আমি দেখেছি। আর ধরা পড়ছে বলেই এ ধরনের তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। কয়জনের মধ্যে এরকম ধরন পাওয়া গেছে? -জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কয়জনের মধ্যে পাওয়া গেছে সেই সংখ্যাটা আমাদের কাছে আসেনি, তাই বলতে পারছি না।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা