অনলাইন ডেস্ক
গত মঙ্গলবার (১৫ই মে) সন্ধ্যায় কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন, এটা যোগাযোগ ও তাদের বোঝানোর বিষয়। ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের বোঝাতে হবে যে সবার লাভের কথা বিবেচনা করেই এ চুক্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, চাবাহার সমুদ্রবন্দর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অতীতের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ইতিবাচক। একসময় ওয়াশিংটন মনে করত, দীর্ঘ মেয়াদে চাবাহার বন্দরের প্রাসঙ্গিকতা আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখনো বেশভাল। কিন্তু ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অত্যন্ত বৈরী। ইসরাইলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন দেওয়ায় তেহরানের প্রতি ওয়াশিংটনের মনোভাব আরও কঠোর হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চাবাহার সমুদ্রবন্দর পরিচালনার বিষয়ে ইরানের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তির ঘোষণা দেয় ভারত।
চুক্তির কয়েক ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (১৪ই মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনো কার্যকর। এসব নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হবে। যারা ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করার কথা ভাবছে, তাদের সম্ভাব্য মার্কিন ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে চাবাহার বন্দরের অবস্থান। বন্দরটি নিয়ে ২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি করে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর নির্মিত হচ্ছে চীনের অর্থায়নে। কৌশলগত কারণে তাই চাবাহার বন্দর ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা