অনলাইন ডেস্ক
এক শোক বার্তায় সংগঠনের সভাপতি নাসিমা আক্তার সোমা, সাধারণ সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী বলেন, তিনি তার কর্মের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। অদম্য সাহসী আলোকচিত্রী সাইদা খানমের অনুপ্রেরণায় পরবর্তীতে এ সাহসিকতা ও মর্যাদাপূর্ণ পেশায় অনেক নারীর পদচারণা ঘটেছে। বাংলাদেশে নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ এ মহীয়সী নারী তার কর্মের মধ্য দিয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তারা মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পত্রিকার মাধ্যমে সাইদা খানম আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার তোলা ছবি ছাপা হয় দৈনিক অবজারভার, মর্নিং নিউজ, ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। আলোকচিত্রী হিসেবে দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন তিনি। তিনি বাংলা একাডেমি ও ইউএনবির আজীবন সদস্য।
১৯৩৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাইদা খানমের জন্ম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য ও লাইব্রেরি সায়েন্সে মাস্টার্স করেন। বাবা আবদুস সামাদ খান ও মানাছিমা খাতুন।
সাইদা খানম আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে ‘বেগম’ পত্রিকার আলোকচিত্রী ১৯৫৬ সাল থেকে। ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। প্রেস ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। দুটো জাপানি পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার তোলা আলোকচিত্র মুদ্রিত হয়েছে।
এছাড়া অস্কারজয়ী সত্যজিৎ রায়ের ছবিও তোলেন সাইদা খানম। সত্যজিতের তিনটি ছবিতে আলোকচিত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ১৯৫৬ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশ নেন সাইদা খানম। ওই বছরই জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কোলন পুরস্কার পান তিনি। ভারত, জাপান, ফ্রান্স, সুইডেন, পাকিস্তান, সাইপ্রাস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে তার ছবির প্রদর্শনী হয়। ১৯৬২ সালে ‘চিত্রালী’ পত্রিকার হয়ে একটি অ্যাসাইনমেন্টে গিয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও অস্কারজয়ী সত্যজিৎ রায়ের ছবি তুলে সমাদৃত হন সাইদা খানম।fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা