১৪৩৪ টি গ্রাম নিয়ে রাণী ভবানীর নাটোর জেলা দেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত। এই জেলার রয়েছে প্রাচান ঐতিহ্য। কবি জীবনানন্দ দাশ তার কবিতায় নাটোরের বনলতা সেনের উল্লেখ করে ভ্রমণপিপাসুদের প্রতি যে ক্ষুধা তৈরি করে গেছেন তা মিটটে পারে একমাত্র নাটোর ঘুরেই।
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর, তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’ পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন। — কবি প্রেমিরা জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কবিতার এইটুকুতেই যেন আটকে যান।মনের কোণে ভেসে উঠে নাটােরের ছবি।
তাই সুযোগ বুঝে ঘুরে আসুন নাটাের। এই শহরে দেখার জন্য আছে অনেক প্রাচীন ঐতিহ্য। নগরের মানুষের আতিথেয়তায় দেখে নিতে পারেন সেগুলো।
প্রথমেই যেতে পারেন উত্তরা গণভবন। দিঘাপতিয়ার রাজবংশ এবং জমিদার বাড়ির স্মৃতি চিন্থ বয়ে বেড়াচ্ছে এই বাড়িটি। বর্তমানে এটি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করা হলেও দর্শনার্থীদের দেখার সুযোগ মেলে। সেখান থেকে যেতে পারেন রাণী ভবানী রাজবাড়ী। আরো ঘুরে দেখতে পারবেন দয়ারামপুর রাজবাড়ি। নাটোর শহর থেকে অটো বা বাসযোগে দয়ারামপুর রাজবাড়ি যাওয়া যায়। বনপাড়া লুর্দের রাণী মা মারিয়া ধর্মপল্লী, ফকিরচাঁদ বৈষ্ণব গোঁসাইজির আশ্রম , শহীদ সাগর যেতে পারেন। আছে বিস্তৃত চলনবিল। চলনবিলের সেই পুরনো ঐতিহ্য এখন আর নেই। এই বুক চিরে হয়েছে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক। বর্ষাকালে এই বিল দেখতে গেলে থই থই পানির দেখা মিলবে। হালতি বিল দেখার জন্য বর্ষাকালই উপযুক্ত সময়। ঘুরে দেখার সময় চাপিলা শাহী মসজিদ, চলন বিল জাদুঘর ঘুরে দেখতে পারেন।
নাটাের যাবার জন্য ঢাকা থেকে নিয়মিত বাস এবং ট্রেন চলাচল করে। তাই, নগরীর টার্মিনালগুলো থেকে নিজের পছন্দ মতো এসি-নন এসি বাস সার্ভিস কিম্বা পছন্দের ট্রেন সার্ভিস বেছে নেয়াই ভাল।
নাটাের দেখতে গেলে ভ্রমণ পিপাসুদের টানা ২/৩ দিন হাতে সময় নিয়ে যাওয়াই ভাল। আর হ্যা, ফেরার আগে কাঁচাগোল্লা আপনাকে দেবে মিষ্টির স্বাদ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা