গাজীপুর জেলার সকল রাস্তা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য আহবান জানানোর মধ্য দিয়ে ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে।
রোববার সকালে টঙ্গী প্রেসক্লাবে গাজীপুর মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এই আহবান জানান।
গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন ও পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি এবং ঢাকাস্থ গাজীপুর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি শামসুন্নাহার ভুইয়া এমপি।
“আধুনিক গাজীপুরের উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ করণীয় ও পেশাজীবীদের ভুমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ গাজীপুর উন্নয়ন পরিষদেও সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সাংবাদিক ইউানয়নের সভাপতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সিনিয়র সাংবাদিক মো: আতাউর রহমান। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা হুমায়ুন হিমু, টঙ্গী পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া, গাজীপুর মহানগর শ্রমিক লীগের আহবায়ক মজিবুর রহমান, টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য আবু জাফর আহমেদ, টঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.এ হায়দার সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো: কালিমুল্লাহ ইকবাল।
সভায় বক্তারা স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরে ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর কি ভাবে মুক্ত করা হয় সেসব ঘটনা তুলে ধরেন। এছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ থেকে বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সাত্তার মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা মো: মহর আলী, মুক্তিযোদ্ধা ইমান উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা মো: লিয়াকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ, মুক্তিযোদ্ধা ডা: মোজাফ্ফর আহমেদ প্রমুখ।
মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বলেন, জীবনকে বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখতে নগরীর প্রতিটি রাস্তা মুক্তিযেদ্ধাদের নামে হবে। সব মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স ফ্রি করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধারা তাদের কার্ড প্রদর্শন করলে নগরীর সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হবে। তাদের সন্তানদের চাকুরী, ব্যবসা ও কর্মসংস্থানে সহযোগিতা করা হবে। এ নগরীতে কেউ বেকার থাকবে না। তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। কোন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ারও সহযোগিতা করা হবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা