অনলাইন ডেস্ক
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলে বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী মানুষের জীবনের প্রতি নিদারুণ অবহেলা দেখিয়েছে, জনবহুল এলাকায় বিমান হামলা এবং ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঘটনার শিকার অনেককেই মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, পুড়িয়ে মারা হয়েছে, নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে বা মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি “অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ” নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মিয়ানমার সেনারা দেশটির সাগেইং অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়েছে। সেখানে কিছু ভুক্তভোগীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কায়াহ রাজ্যে কয়েকজন নারী-শিশুর পোড়া মরদেহ পাওয়া গেছে। অনেকের দাবি, ভুক্তভোগীরা পালাতে গিয়ে ধরা পড়ার পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।
এছাড়া বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। ছাদের সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা, মাদকের ইনজেকশন দেওয়া, কয়েকজনকে ধর্ষণসহ ভয়াবহ যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। জাতিসংঘের এমন প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মিয়ানমারের সামরিক মুখপাত্র। উল্টো তারা নৃশংসতার ঘটনা অস্বীকার এবং অশান্তি সৃষ্টির জন্য সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। কিন্তু তা মেনে নেয়নি সাধারণ মানুষ। অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় রাস্তা নেমে আসেন তারা। শুরু হয় ব্যাপক সহিংসতা, ধরপাকড়।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় মিয়ানমারে অন্তত ১১ হাজার ৭৮৭ জনকে আটক করা হয়, যাদের বেশিরভাগ এখনো বন্দি। এছাড়া, বন্দিদশায় মারা গেছেন অন্তত ২৯০ জন। এদের বেশির ভাগেরই মৃত্যুর কারণ ব্যাপক নির্যাতন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা