অনলাইন ডেস্ক
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা অপব্যবহার করে আমদানিকৃত পণ্য আটকে রেখে অর্থ আদায়ের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর ) অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। এতে নেতৃত্বদেন দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার উপপরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ।
দুদক জানায়, বেসরকারি সংগঠনের সাথে যোগসাজশে আমদানিকৃত পণ্য আটকে রেখে বেআইনিভাবে অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনে জন্য মোংলা বন্দর পরিদর্শন করে। টিম বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে। বন্দর পরিদর্শনকালে বারভিডা কর্তৃক গাড়ি প্রতি লেভি বাবদ অর্থ আদায়ের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে টিম।
উক্ত অর্থের একটা অংশ বন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ব্যাংক একাউন্টের জমা হয়। এ অর্থ ব্যয়ের কোনো সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। বারভিডা কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে গাড়ি প্রতি অর্থ আদায় সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বর্তমানে বন্ধ আছে। অভিযানে প্রাপ্ত নথিপত্র যাচাই বাছাইপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ এবং সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়।