ঢাকাই ছবির প্লেব্যাক সম্রাটখ্যাত গায়ক এন্ড্রু কিশোরের দেহে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা। শনিবার থেকে তার ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সঙ্গীতশিল্পী জাহাঙ্গীর সাঈদ।
৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর গেছেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তখন তার কিডনি ও হরমোনজনিত সমস্যা ছিল। এ কারণে তার ওজন হ্রাসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এড্রেনাল গ্লান্ড বড় হয়ে গেছে। পাশাপাশি তার আরেকটি সমস্যা হলো জ্বর। প্রতিদিন তার জ্বর আসছে।
এসব নিয়ে চিকিৎসকেরা চিন্তিত ছিলেন। কেন এভাবে জ্বর আসছে, তার সমাধান খুঁজছেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া তার শরীরের কিছু নমুনা বায়োপসির জন্য পাঠানো হয় ল্যাবে। সে রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হয়েছেন এন্ড্রু কিশোর ক্যানসারে ভুগছেন। এখন তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এন্ড্রু কিশোরকে আমন্ত্রণ জানান। এ সময় তিনি এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক সমস্যার খোঁজ নেন এবং তার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বেড়ে ওঠা সেখানেই। রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে প্রাথমিকভাবে সঙ্গীত পাঠ শুরু করেন। একসময় গানপাগল যুবকটি চলে আসেন ঢাকায়।
১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্র দিয়ে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর চলচ্চিত্রে অসংখ্য গান গেয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘আমার বুকের মধ্যিখানে’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’ প্রভৃতি।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা