করোনাভাইরাস এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে গোটা ইউরোপে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। টানা এক সপ্তাহ ধরে সেখানে পাঁচশর বেশি করে মানুষ মারা যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ১ হাজার ৬০৩ জন মারা গেছেন। এতে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬১৬ জনে।
এর মধ্যে চীনে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৬১ জন। চীনের বাইরে মারা গেছেন ১১ হাজার ৩৫৫ জন। চীন থেকে ১৯০টির বেশি দেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮০২ জন।
এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে ৯৭ হাজার ৬৩৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৫৪ জন। এ ছাড়া চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৪ জন।
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৮৬ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৪৬ জনের অবস্থা সাধারণ (স্থিতিশীল অথবা উন্নতির দিকে) এবং বাকি ১০ হাজার ৬৪০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সৌদিতে ২১ দিনের কারফিউ
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারগুলো এই বৈশ্বিক মহামারী ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি সরকারগুলোকে নিজ নিজ দেশের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
করোনাভাইরাস এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে গোটা ইউরোপে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। টানা এক সপ্তাহ ধরে সেখানে পাঁচশর বেশি করে মানুষ মারা যাচ্ছেন।
এ মহামারী পুরো বিশ্বকেই যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে। অধিকাংশ দেশেই রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, শপিংমল-মার্কেট, রেস্তোরাঁ-বার ফাঁকা। যেন সব ভুতুড়ে নগরী, যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা চলছে। সবার মধ্যে ভয়, আতঙ্ক আর আশঙ্কা।
ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে। সেখানে প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও চীনের বাইরে ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
Like & Share our Facebook Page: Facebook