অনলাইন ডেস্ক
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ ২৩ রানে ও দ্বিতীয়টি ৫ উইকেটে জিতে নেয় টাইগাররা। আজ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ জিততে পারলে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক টি-টুয়েন্টি জিতবে বাংলাদেশ।শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধীরগতির পিচে অস্ট্রেলিয়ান দলের দুর্বলতা প্রকটভাবেই ফুটে ওঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ডিপার্টমেন্টকে শক্তহাতে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অন্যদিকে মিচেল মার্শ ছাড়া বাকি ব্যাটারদের প্রথম দুই ম্যাচে টাইগার বোলারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পন করতে দেখা গেছে।
অজি ক্রিকেটাররা সাধারণত ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের মতো ধীরগতির পিচে খেলে অভ্যস্ত নন। ফলে পরাজয় হজম করলেও, অভিজ্ঞতাটা তাদের কাজে লাগবে বলেই মনে করছে। বাংলাদেশে আসার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজেও বিধ্বস্ত হয়েছে অজিরা। বিগ ব্যাশ টি-২০ লীগের খেলা স্টাইল আদৌ আন্তর্জাতিক মানের কিনা, এটাও সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবাচ্ছে।
প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের তেমন কোন দুর্বলতা চোখে পড়েনি। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং ডিপার্টমেন্টে যথাক্রমে নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন উজ্জ্বল। দুই ম্যাচেই প্রথম উইকেটটার পতন ঘটিয়ে মাহেদি হাসান একাই পাওয়ার প্লেতে আটকে রাখেন অজিদের। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটের পতন ঘটিয়ে বোলিংয়ে ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন পেস বোলার শরিফুল ইসলাম। সাকিব আল হাসানের কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। ব্যাটিং লাইন আপের টপ অর্ডারে সৌম্য সরকার রীতিমত ব্যর্থতার প্রতিমূর্তি। নাইম শেখও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয়েছেন। দিনশেষে দল জয় পাওয়ার কারণে এসব ব্যর্থতা নিয়ে আসলে ভাবার কিছু নেই। নবীন ব্যাটাররা পুষিয়ে দিচ্ছেন সিনিয়রদের ব্যর্থতা। ফলে, উইনিং কম্বিনেশনে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট কোন পরিবর্তন আনতে চাইবে না।
টানা দুই ম্যাচে হেরেও সিরিজ জয়ের পথ খুঁজছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজয়ের পর তৃতীয় ম্যাচের আগে ব্যাটিং সমস্যা সমাধানের জন্য দলের খেলোয়াড়দের সতর্ক করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা