অনলাইন ডেস্ক
জানা গেছে, আগের স্কুটারগুলোতে হাব মোটর ব্যবহার করা হলেও নতুন সিরিজে থাকছে মিড ড্রাইভ মোটর এবং ইন্টিগ্রেটেড মোটর কন্ট্রোল ইউনিট। এই নতুন প্রযুক্তির ফলে স্কুটারগুলো আরো শক্তিশালী এবং দক্ষভাবে চলতে পারবে। পাশাপাশি স্কুটারগুলোতে রয়েছে অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম। যা যেকোনো পরিস্থিতিতে আরো নিরাপদে ব্রেক কন্ট্রোল করতে সাহায্য করবে।
বিশেষ করে S1 Pro Plus স্কুটারটি বেশ চমকপ্রদ, কারণ এটি একবার চার্জে ৩২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারবে। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৪১ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে, যা ইলেকট্রিক স্কুটারের ক্ষেত্রে একটি বড় উন্নতি।
ওলার নতুন মডেলগুলোর ব্যাটারি অপশনও বেশ বৈচিত্র্যময়। গ্রাহকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ২ কিলোওয়াট থেকে ৫.৩ কিলোওয়াট পর্যন্ত ব্যাটারি বেছে নিতে পারবেন। নতুন মডেলের দাম আগের মডেলগুলোর তুলনায় ৩১ শতাংশ কম রাখা হয়েছে, যা ইলেকট্রিক স্কুটারের বাজারে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
ওলার নতুন স্কুটার সিরিজ শুধুমাত্র উন্নত প্রযুক্তি ও শক্তিশালী ব্যাটারির জন্য নয়, বরং এর সাশ্রয়ী মূল্যের জন্যও আকর্ষণীয় হতে পারে। কোম্পানির দাবি, এই স্কুটারগুলো দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেক কম।
বিশেষ করে, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ, কারণ তারা তুলনামূলক কম খরচে উচ্চমানের ইলেকট্রিক স্কুটার কিনতে পারবে।
পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি একটি বড় পদক্ষেপ। বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন কার্বন নিঃসরণ কমায়, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এই নতুন সিরিজের স্কুটারগুলো নির্ভরযোগ্য, দ্রুতগতির এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত, যা শহুরে যাতায়াতকে আরো আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক করবে।
ওলার এই নতুন স্কুটার সিরিজ ইলেকট্রিক যানবাহনের বাজারে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। কম দাম, উন্নত প্রযুক্তি এবং দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপের কারণে এই স্কুটারগুলো বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেতে পারে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা