অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে তিনি এ হুমকি দেন বলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে।
“উহানের ল্যাবই যে করোনাভাইরাসের উৎস, আপনি কি এ বিষয়ে উচ্চ মাত্রার আত্মবিশ্বাস দেয় এমন কিছু দেখেছেন,” ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ‘প্রমাণ দেখার’ কথা জানালেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
তার এ দাবির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যের মতভেদ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বৃহস্পতিবারই দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কার্যালয় বিরল এক বিবৃতিতে নতুন করোনাভাইরাস ‘মানব সৃষ্ট’ নয় বলে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছিল।
উহানের কোনো পরীক্ষাগার থেকে দুর্ঘটনাবশত নাকি কোনো প্রাণীর কাছ থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দারা এখন তা খতিয়ে দেখছে বলেও জানায় তারা।
এর কিছু সময় পরই ট্রাম্প চীন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে একহাত নেন।
“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেভাবে চীনের গণসংযোগ সংস্থার মতো কাজ করেছে, সেজন্য তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত,” বলেন তিনি।
ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে চীন নিজেদের দেশে বিধিনিষেধ আরোপ করলেও বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ সচল রেখেছিল কেন, ট্রাম্প সে প্রশ্নও তোলেন।
“হয় তারা কোনো ভুল করেছে, কিংবা ভাইরাসটি দুর্ঘটনাবশত ছড়িয়েছে; এরপর তারা আরও একটি ভুল করেছে, উদ্দেশ্য ছাড়া কেউ কি এমন করে?,” জিজ্ঞাসা মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
চীনের বিরুদ্ধে আরও শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় শুরুর দিকে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়া রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট আগেরদিনই রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নতুন করোনাভাইরাস বিষয়ে বিশ্বকে ‘চীনের আরও আগে জানানো উচিত ছিল’ মন্তব্য করেছিলেন।
নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে হারাতে বেইজিং ‘সম্ভব সবকিছুই করতে পারে’ বলেও অনুমান তার।
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসের জন্য ট্রাম্প কয়েক সপ্তাহ ধরেই চীনকে দায়ী করে আসছেন।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৬৩ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, অর্থনীতিকে ফেলে দিয়েছে ভয়াবহ মন্দায়। এসবই ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে ধীরে ধীরে ফিকে করে দিচ্ছে বলে মত অনেকের।
রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সময়ে চীনের বিরুদ্ধে একের পর এক বাক্যবাণ ছুড়লেও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে নিয়ে কিছু বলছেন না; যাকে আগে বেশ কয়েকবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
বুধবার পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, মার্চের শেষদিকে দুই নেতার ফোনালাপে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও দুই পক্ষের মধ্যে ওই ‘যুদ্ধবিরতি মনে হয় শেষ হয়ে এসেছে’।
প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি ও এর মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিয়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে তুমুল কথার লড়াই চলছে।
করোনাভাইরাসজনিত অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে বলে কয়েকদিন আগে ট্রাম্প ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা