ছবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া।
উপাচার্য অধ্যাপক কাজী শরিফুল আলমের পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, দাবি আদায় না হলে তারা ২ নভেম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে দিবে না।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবি মানা না হলে ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হবে। তারা ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে দেবেন না। এছাড়া কোনো সেমিস্টার পরীক্ষায়ও তারা নিজেরাও অংশগ্রহণ করবে না।
আন্দোলনকারীরা জানান, আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সমবেত আন্দোলন কর্মসূচি পালনের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত একাডেমি ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। প্রশাসনিক সকল দায়িত্ব থেকে তাকে (ভিসি) না সরানো পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কোনো অবৈধ ব্যক্তিকে শিক্ষার্থীরা ভিসি হিসেবে মেনে নেবে না।
গত ২৮ অক্টােবর এই আন্দোলন শুরু করেছে শির্ক্ষার্থীরা। ২৯ ইঅক্টোবর আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকল প্রশাসনিক ভবনে তালা দে য়আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।এর পরেও দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন আর বেগমান করে তুলে শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত ফাইনাল পরীক্ষা ও সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।
ভিসি পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে গত সোমবার আন্দোলনে নামেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রায় সকল বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য দাবিসমূহ হল –
১.প্রফেসর ড. শরিফুল আলমকে সকল ধরণের প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে,উনার সাথে জড়িত সকলকে আউস্ট বহিষ্কার করতে হবে এবং এই অবৈধ্য ভিসি এত ভার্সিটি থাকা অবস্থায় নেয়া সকল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। ২.প্রফেসর ড. শরিফুল আলমের জন্য আউস্ট থেকে যে ১০ জন সিনিয়র ফ্যাকাল্টিকে আউস্ট ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল তাদের স্বসম্মানে ফেরত আনতে হবে। ৩.শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার ফি হিসেবে যে টাকা দিচ্ছে তা কি কি খাতে ব্যয় হচ্ছে তা অর্থরিটিকে দিতে হবে। ৪.ক্লিয়ারেন্সেরর জন্য নতুন আরোপিত নিয়ম বাতিল করতে হবে,তাছাড়া ক্যারি ক্লিয়ারেন্সের সবোচ্ছ সিজিপিএ ৩.০০ করতে হবে। ৫.ভার্সিটিতে এলামনাই এসোসিয়েশন করতে হবে। ৬.শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি সেমিস্টারে স্টাবলিশমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফি নেয়া হয় কিন্তু পরিপূর্ণ সুযোগ সুবিধা হচ্ছে না।সকল শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। ৭.আউস্ট এ একটি অরাজনৈতিক ছাত্র সংঘটনের অনুমতি দিতে হবে যেখানে প্রতিনিধিত্ব করবে বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ৮.ভর্তি পরীক্ষাসহ সকল ধরণের পরীক্ষা বর্জন করতে হবে। নতুন করে একাডেমিক ক্যালেন্ডার বর্তমান সেমিস্টার রুটিনের আলাদাই তৈরী করে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে। ৯.সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল কর্মকান্ডকে ক্যাম্পাসে সহজ ও সাবলীল করা লক্ষ্যে ফেস্ট,পূজাসহ সকল ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের শর্তহীন অনুমতি দিতে হবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা