অনলাইন ডেস্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরার সব সেক্টরেই গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট, যার অনেকগুলোই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ। কোথাও কোথাও আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে, আবার কোথাও কোথাও বহুতল ভবনের সবগুলো ফ্লোরে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, কিন্তু অনুমতি নেই এসবের। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও তার ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা নেই, এমমনটিও দেখা গেছে কোন কোন রেস্টুরেন্টে।
প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এসব প্রতিষ্ঠান ও ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিলেন স্থপতি ও বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরায় রয়েছে ১৪টি সেক্টর। আছে অনেক সড়ক। আর সেসব সড়কের অনেক জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে শত শত রেস্টুরেন্ট।
উত্তরার সোনারগাও জনপদ মোড়ের ২নম্বর বাড়ি এটি। ৬ তলা ভবনের পুরোটিতেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট। একই ভবনে ৫টি রেস্টুরেন্টকে ভাড়া দিয়েছেন ভবন মালিক। ছোট একটি লিফট আর একটি সিঁড়ি দিয়ে চলছে উঠানামার কাজ। ভবনটিতে এতোগুলো রেস্টুরেন্ট করার অনুমতি আছে কিনা, তার উত্তর দিতে পারেনি ভবনটির ম্যানেজার।
উত্তরার এরকম অনেক ভবন রয়েছে, যেখানে পুরো ভবনেই রেস্টুরেন্ট ভাড়া দেয়া হয়েছে। নেই অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা। রেস্টুরেন্টগুলোর কিচেনও অগোছালো, রুমের ধোয়া সরানোর জন্য পাইপ বা চিমনি ব্যবহার না করে শুধু এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে পাশের ভবনে। কোন কোন রেস্টুরেন্টে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও তা কিভাবে চালাতে হবে সেই ধারণা নেই কারও।
আবাসিকের অনুমতি নিয়ে বাণিজ্যিক ভবন করা হয়েছে বহু জায়গায়। নিয়ম না মেনে ঝুঁঁকিপূর্ণ পরিবেশে প্রশাসনের চোখের সামনেই উত্তরার বিভিন্ন ভবনে চলছে রেস্তোরাঁর রমরমা ব্যবসা।
অগ্নিদুর্ঘটনা এবং এতে হতাহতের ঘটনা এড়াতে অবৈধ ও নিয়ম না মেনে চালানো রেস্তোরাঁ বন্ধ ও ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিলেন স্থপতি মুস্তফা খালিদ পলাশ ।