ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে একদিনে অন্ততপক্ষে ৪০ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। ব্যাপক দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং নাগরিক সেবা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ইরাকি নাগরিকরা রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারিরা এসময় তাহরির স্কয়ারে জড়ো হন। তারা সরকার বিরােধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এসময় কিছু বিক্ষােভকারি সরকারি ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। নিহতদের অধিকাংশই সেনাবাহিনী ও সরকারি দপ্তরে হামলা চালানোর সময় মারা যান।
অন্যদিকে, ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলের দিওয়ানিয়াহ শহরে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে আগুন দেওয়ার সময় ১২ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়।
নিরাপত্তা বাহিনীর বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেওয়ায় প্রায় দুই হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
চলতি মাসের শুরুতেই এরকম আরেকটি বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫০ বিক্ষোভকারী।
পরে সরকারি এক প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়, বিক্ষোভ দমনে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবারের এই বিক্ষোভের আগে ইরাকের শীর্ষ ধর্মীয় কয়েকজন নেতা ও জাতিসংঘ বিক্ষোভকারীদের সংযত থাকার আহ্বান জানায়। তবে, বিক্ষোভকারি নিহতের সংখ্যা মাত্র ৬৮ বলে জানিয়েছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। ইরাকের মন্ত্রীসভা বিক্ষোভের বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুর পর এটিই ইরাকে প্রথম সরকারবিরোধী বড় ধরণের বিক্ষোভ। যা দেশটির বর্তমান সরকারকে ভীত সন্ত্রস্ত্র করেছে বলেই আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা