আমদানির প্রথম বছরেই বিশ্ব এলএনজি মার্কেটে স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের মোট এলএনজি উৎপাদনের এক শতাংশেরও বেশি সংগ্রহ করে বাংলাদেশ বিশ্বে চমক সৃষ্টি করেছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী দিনব্যাপী বাংলা এলএনজি কর্মশালা ২০১৯ এর উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা জানান। রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি এটির আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন (ডিসিএম) জোঅ্যান ওয়াগনার ও এক্সিলারেটের প্রেসিডেন্ট, ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্টিভেন কোবোস বক্তব্য রাখেন, কাতারের রাষ্ট্রদূত আহমেদ মোহাম্মদ নাসের আল-দেহাইমি, কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কং-ইল্ড । দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের ১২০ জনেরও বেশি সংশ্লিষ্ট খাতের নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে বিশ্বব্যাপী এলএনজি খাত ও গ্যাস বাজার এবং বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন : কয়লা ভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আগ্রাসী এই পরিকল্পনা বাংলাদেশকে কুখ্যাত একটি ক্লাবের সদস্য করবে
এক্সিলারেটের প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্টিভেন কোবোস বলেন, বিশ্ব এলএনজি মার্কেটে বাংলাদেশের নাটকীয় প্রবেশ বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। প্রথম ১২ মাসের মধ্যেই বিশ্বের মোট এলএনজি উৎপাদনের এক শতাংশেরও বেশি সংগ্রহ করা সত্যিই একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ তিনি বলেন, এলএনজি আমদানি কর্মসূচীকে কিভাবে সফল করা যায় এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং পেট্রোবাংলার কাছ থেকে বিশ্ববাসীর অনেক কিছু শেখার আছে। এলএনজি আমদানীর প্রথম বছরের কথা উল্লেখ করে ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, কখনও কখনও দ্রুত অগ্রগতি করতে চাইলে সাহস ও দূরদৃষ্টিতা কাজে লাগাতে হয়। আশা করি বাংলাদেশের এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।
গত বছর দেশের প্রথম এলএনজি আমদানি টার্মিনাল মহেশখালী ভাসমান এলএনজি (এমএলএনজি) থেকে গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশ ৩৯ তম দেশ হিসেবে যোগদান করেছে।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা