অনলাইন ডেস্ক
মূলত নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্যই ক্ষমা চেয়েছেন গনি।
বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের সময় নিজের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ‘স্বচ্ছ’ ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গনি জানান, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বিপুল অঙ্কের অর্থ সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন বলে খবরে প্রচার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে তিনি আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ সংস্থা বা জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি আছেন।
তিনি বলেন, কাবুল ত্যাগ করা আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল আমি চলে গেলে বন্দুকধারীরা নীরব থাকবে এবং কাবুলের ৬ লাখ নাগরিক নিরাপদ থাকবে।
পালানোর সময় তিনি লাখ লাখ ডলার দেশের বাইরে নিয়ে গেছেন এমন দাবিকে অস্বীকার করে তিনি বলেন, নির্দোষ প্রমাণের জন্য আমি তদন্তের জন্য প্রস্তুত।
আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ তালেবানের ক্ষমতা দখলের সশস্ত্র অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য আশরাফ গনিকে ‘কাপুরুষ’ হিসেবে অভিহিত করেন। দেশত্যাগ করার আশরাফ গনি চারটি গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টার ভরে নগদ অর্থ নিয়ে গেছেন বলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
তবে পালিয়ে যাওয়ার ৪ দিন পর এক ভিডিও বার্তায় আশরাফ গনি বলেন, আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছি। তালেবানের কাবুল দখলের মুখে ব্যাপক রক্তপাত এড়াতে দেশ ছেড়েছি। বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ নিয়ে দেশ ছাড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আশরাফ গনি বলেন, নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের তাড়া থাকায় সম্পত্তি ও গোপনীয় নথি রেখেই দ্রুত দেশ ছাড়তে হয়েছে।
বর্তমানে আবুধাবিতে থাকা গনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তার পূর্বসূরিদের মতো তিনিও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে পারেননি। আমি আফগান জনগণের কাছে ক্ষমা চাইছি।
গত মে মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পর দ্রুত তালেবান যোদ্ধারা কাবুল দখল করে নেয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা