অনলাইন ডেস্ক
প্রতি বছর এই দিনটিকে স্মরণে দেশের বিভিন্ন উপকূলে নানা আয়োজন করা হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও দিনটি স্মরণে দেশের বিভিন্ন উপকূলে রাত থেকে মোমবাতি প্রজ্বলন, আলোচনা সভা ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। স্মরণ করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারানো মানুষদের। এসব কর্মসূচি থেকে ১২ নভেম্বরকে জাতীয়ভাবে উপকূল দিবস ঘোষণারও দাবি করা হয়।
ঐতিহাসিক ’৭০ এর নির্বাচনের তখন বাকি আর মাত্র ২৫ দিন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে বিরাজ করছিল নির্বাচনী পরিবেশ। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ভোলা সাইক্লোন।
এ যাবতকালে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারান প্রায় ১০ লাখ মানুষ। নিঃস্ব হয় উপকূলের প্রায় প্রতিটি পরিবার। সেবার নির্বাচনী প্রচারণা ছেড়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে উপকূলবাসীর অন্তরে ঠাঁই করে নেন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনের তরী পেরিয়ে স্বাধীন হয়েছে দেশ। উন্নত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতিও। তবুও সেই দিনটি এখনো আতঙ্কিত করে উপকূলের মানুষদের।
প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে প্রলয়ঙ্করী এ ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারানো মানুষদের স্মরণ করছে উপকূলবাসী। ভোলা সাইক্লোনের ৫০ বছরে উপলক্ষে বুধবার রাতে বিভিন্ন উপকূলে পালিত হয় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ নানা কর্মসূচি।
এসব কর্মসূচি থেকে দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয়ভাবে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং নিরাপদ উপকূল নিশ্চিতে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনেরও দাবি তুলেন প্রতিনিয়ত দুর্যোগ সয়ে যাওয়া উপকূলবাসী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা