অনলাইন ডেস্ক
গেল ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা ও পরে ফরিদপুরে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ১৩ই মার্চ সেখানে তার মৃত্যু হয়। এর আগে এই ঘটনায় চারজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার।
আছিয়াকে ধর্ষণের খবর প্রচার হওয়ার পর দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। দোষীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে/ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী পাস করে। এতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা হয়।
মামলার ৩৬ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশীট জমা দেয় পুলিশ। বিচার শুরুর ২১ দিনের মধ্যে শনিবার আলোচিত এই মামলার রায় দেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান। রায়ে আছিয়ার বোনের শ্বশুর ও মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে হিটু শেখের স্ত্রীসহ বাকি ৩জনকে খালাস দেয়া হয়। প্রধান আসামির ফাঁসি হলেও বাকি তিনজনকে খালাস দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আছিয়ার পরিবার, উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমানিত হয়েছে। এদিকে, মৃত্যুদন্ড পাওয়া আসামি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বিচার কাজ শেষ হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আইজীবীরা। তারা বলছেন দ্রুত বিচারের ইতিহাসে এ মামলা এক অনন্য নজির।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা