বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে আকাশ ও সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। আকাশ পথে আমদানি করা হচ্ছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
তিনি আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সমুদ্র পথে ১২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজও দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এছাড়া, দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে। পেঁয়াজের মূল্যও দ্রুত গতিতে কমছে।
মন্ত্রী বলেন, মিসর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ সৌদি এয়ারলাইন্স-এর একটি উড়োজাহাজ যোগে ঢাকার পথে রয়েছে।
পেঁয়াজবাহী প্রথম সৌদি এয়ার লাইন্স এর উড়োজাহাজ এসভি ৩৮০২ যোগে মিসরের কায়রো থেকে জেদ্দা হয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ২০ নভেম্বর গভীর রাতে পৌঁছাবে বলে তিনি জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এরপর প্রতিদিন প্যাসেনজার ও কার্গো ফ্ল্যাইটে পেঁয়াজ অব্যাহতভাবে ঢাকায় আসবে। এ সকল পেঁয়াজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে। টিসিবি’র ট্রাক সেল এবং নিয়োজিত ডিলারের মাধ্যমে সারাদেশে এ পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধির জন্য সরকার শুরু থেকেই আমদানিকারকদের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানির প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে এবং মিয়ানমার পেঁয়াজের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি করলে বিকল্প হিসেবে মিসর ও তুরষ্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সমদ্র পথে পেঁয়াজ আসতে সময় বেশি লাগার কারণে এখন তা আকাশ পথে আমদানি করা হচ্ছে। দেশে দৈনিক প্রায় ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। দেশের মজুত এবং আমদানিকৃত পেয়াঁজ মিলে তা পর্যাপ্ত হবে। এরই মধ্যে দেশীয় পেঁয়াজ পর্যাপ্ত বাজারে আসবে। সামনে কোন সমস্যা হবে না।
টিপু মুনশি বলেন, আমাদের প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আদানি করতে হয়। এর বেশির ভাগই প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করা হয়। এখন আমদানি নির্ভর না থেকে চাহিদার পুরো পেঁয়াজই দেশে উৎপাদনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য কৃষকদের ভর্তুকি ও উৎসাহ প্রদান করা হবে। এছাড়া, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে পেঁয়াজ সারাবছর সংরক্ষণ করা যায়।
তিনি বলেন, মৌসুমের সময় পেঁয়াজ আমদানির কারণে যাতে দেশের কোন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে সময় পেঁয়াজ আমদানির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের উপযুক্ত মূল্য পান, তা নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।-বাসস
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা