ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শোক দিবস পালন করলো অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
সম্প্রতি জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া শাখা এই দিবসটি পালন করেছে।
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের টিভি রুমের ছাদ ধসে ৪০ জন শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও অতিথির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ দিনটিকে ঢাবি শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরব প্রার্থনা করা হয়। এরপর ভক্তিগীতি ও কোরাস গেয়ে ওই ঘটনার তাৎপর্য ফুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।
সংগীত পরিবেশন করেন- জ্যোতি বিশ্বাস, পলাশ বসাক, অদিতি রাউথ, বর্ণালী রায় ও সিরাজুস সালেকিন। এরপর উপস্থিত বক্তারা ঢাবি শোক দিবসের ইতিহাস ও কার্যকারণ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন কুবিতা রায় ও সজল রায় । এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া বাঙালি শিশু-কিশোররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও শোক দিবসের অনুষঙ্গ তুলে ধরে চিত্রাঙ্কন করে। যা দেয়ালে টাঙিয়ে দেওয়া হয় ।
সুদর্শন দাসের সভাপতিত্বে এবং নির্মল চৌধুরী ও চন্দ্রা বাড়ৈর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি লিংকন শরীফ উল্লাহ, রোকেয়া হলের প্রতিনিধি রীনা দাস, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রতিনিধি দিলিপ দত্ত ও সৌমেন চক্রবর্তী, মুক্তমঞ্চের প্রতিনিধি নোমান শামীম এবং সিডনির কাম্বালান্ড কাউন্সিলের কাউন্সিলর সুমন সাহা।
সবশেষে আয়োজনের অতিথি, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে নিহত সবার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা