অনলাইন ডেস্ক
বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অসভ্য’ উল্লেখ করে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মুরাদ হাসানের পদত্যাগের বিষয়ে মির্জা আব্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার সঠিক কাজটিই করেছে। আমি বলব বহুদিন পর সরকার একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি ওনাকে আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ধন্যবাদ জানাই।’
বিএনপি নেতা বলেন ‘এটা শুধু আমাদের কথা না, এটা নিয়ে নারী নেত্রীরা সমালোচনা করছেন। যে শব্দ তিনি (মুরাদ) ব্যবহার করেছেন, যে অশ্রাব্য কথা তিনি বলেছেন, সেটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য না।
মির্জা আব্বাস বলেন, মুরাদকে পদত্যাগের জন্য নির্দেশ না দিয়ে তাকে বরখাস্ত করতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী। তাহলে আরও খুশি হতাম।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনাবোধে ধরেছে, তা থেকে তিনি এটা করেছেন, এ জন্য আমরা খুশি। তাই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, যে অশ্রাব্য ভাষা এই প্রতিমন্ত্রী ব্যবহার করেছেন, সেটি কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। রাজনীতি আমিও করি, আমিও একজন নারী, প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী। সমালোচনা করার একটা ভাষা আছে। কিন্তু তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, সেটি পুরো দেশের জন্য একটি কলঙ্কময়।
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ওনাকে (মুরাদ) আরও আগেই পদত্যাগ করিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। এখন সেটা হয়েছে, ঠিক আছে, কিন্তু শাস্তির কী হবে?’
এরআগে মঙ্গলবারের মধ্যে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সন্ধ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমি আজ রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছি।
সোমবার সকালে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটি দল বা সরকারের নয়। এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা