অনলাইন ডেস্ক
শনিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম আর দূরদর্শী পরিকল্পনা এবং নতুন নতুন কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে সারাবিশ্বের কাছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হতে মানুষের জানমাল রক্ষায় মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়। সবার কাছে যা ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।
এই কিল্লাকে আধুনিক রূপ দিতে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ ও সংস্কার করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দুর্গত জনগণ সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে। এই কিল্লা তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে। এছাড়া জনসাধারণের খেলার মাঠ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও হাট-বাজার হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যাবে।
বন্যাপ্রবণ এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য দুইতলা বিশিষ্ট ২৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এতে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ এবং ২৩ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৮-২২ মেয়াদে ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
আলোচনায় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন দুর্যোগকবলিত জেলার ২০ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ২০ জন এনজিও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের জ্যেষ্ঠ পরিচালক কাজী এমদাদুল হক।
আরও বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাসিম।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা