পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ১৫ দফা দাবিতে দেশব্যাপী কর্মবিরতি শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন অংশের নৌযোগাযোগ।
আজ বুধবার থেকে ১৫ দফা দাবিতে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এদিকে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে সকালে ঢাকা থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
শতভাগ খাদ্যভাতা ও সুপেয় পানির খরচ আদায়সহ ১৫ দফা দাবিতে আগেই টানা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন নৌযান শ্রমিকরা।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে চলাচল করে গ্রীন লাইন পরিবহনের ট্যুরিস্ট জাহাজ
গত ২০ নভেম্বর (বুধবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
শ্রমিকরা নৌ শ্রমিকদের খোরাকি ভাতা চালু, জ্বালানি তেল সরবরাহের পাইপলাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ডিজি শিপিংয়ের হয়রানি বন্ধ, সুনামগঞ্জের ছাতকের ভুয়া ইজারা বাতিল এবং নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছেন।
নৌযান শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ মো. ওমর ফারুক জানান, ‘দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ে আজ বিকেল ৫টায় সভা ডাকা হয়েছে। দাবি পূরণের আশ্বাস পেলে আমরা ধর্মঘট স্থগিত করব।’
এদিকে ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য যাত্রী ঘাটে গিয়ে জানতে পারেন লঞ্চ চলাচল বন্ধ। গন্তব্যে যেতে না পেরে তাদের আবার ফিরে যেতে হচ্ছে। চরম দুর্ভোগে পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
ধর্মঘটের কারণে মোংলাবন্দরের চ্যানেলে অবস্থানরত বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস ও বোঝাই বন্ধ থাকে। চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বন্দরে পণ্য ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা