কলকাতার ইডেনে সিরিজের দ্বিতীয় ও দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ইনিংস ও ৪৬ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ইন্দোরে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টেও ইনিংস ও ১৩০ রানে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা।
ভারত সফরে টেস্ট দলের নেতৃত্ব পাওয়া বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মমিনুল হক বলেন, টপ অর্ডারে পার্টনারশীপ ঘাটতির করণেই ভারতের বিপক্ষে টেস্টে এমন ব্যর্থতা। তারা যদি কিছু পার্টনারশীপ গড়তে পারতেন তাহলে গল্পটি অন্য রকম হতে পারতো।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটে অজুহাতের কোন সুযোগ নেই। আমি কোন অজুহাত দেখাতে চাই না। দল হিসেবে আমরা ভালো করিনি, এমনকি কোন পার্টনারশীপই গড়তে পারিনি। আপনারা ম্যাচের দিকে তাকালেই দেখবেন, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দারুন একটি পার্টনারশীপ গড়ে তুলেছিলেন। ম্যাচের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা যদি এমন কিছু পার্টনারশীপ গড়তে পারতাম, তাহলে প্রতদ্বন্দ্বিতা করতে পারতাম। আসলে আমরা খুবই খারাপ ব্যাটিং করেছি।’
দুই টেস্টেই প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছে টাইগারদের। ইন্দোরে তারা ১৪৩ রানে অল আউট হয়েছে। কলকাতার দিবা-রাত্রির ম্যাচেও প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে মাত্র ১০৬ রানে।
মমিনুলের মতে লাল বলের তুলনায় গোলাপী বলের পেস মোকাবেলা করা বেশি কঠিন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় লাল বলের চেয়ে গোলাপী বলের মোকাবেলা করা বেশি চ্যালেঞ্জের। আমরা যদি নতুন বলে ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারতাম, তাহলে শিশিরে ভিজে অপেক্ষাকৃত নরম বলের বিপক্ষে ভালো ব্যাট করতে পারতাম। যেহেতু গোলাপী বলের চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবেলা করতে পারিনি তাই আমরা হেরে গেছি।’
স্পোর্টিং উইকেটে পেসারদের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রামের কারণ টেকনিক্যাল ইস্যু বলে ক্রিকেট বোদ্ধারা যে প্রশ্ন তুলেছেন, তার জবাবে কোন টেকনিক্যাল ইস্যু ছিল না বলে জানান মমিনুল। বলেন, ‘আমি কোন টেকনিক্যাল ইস্যু দেখছি না। তবে এটি সত্যি যে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদেরকে উন্নতি করতে হবে। সেটি টেকনিক্যাল হোক কিংবা ট্যাকটিক্যাল।’
টস জিতে বাংলাদেশ দলের প্রথমে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটি দারুণ সমালোচিত হয়েছে। এমনকি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও এতে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন। তবে বিসিবি প্রধানের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি না হলেও কেন তিনি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মমিনুল বলেন, ‘আমরা যদি প্রথমে ফিল্ডিং নিতাম, তাহলে দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের ব্যাটিং করতে হতো। লাইটের আলোতে তখন আমাদের আরও কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতাম। আপনারা জানেন নতুন গোলাপী বলে লাইটের আলোতে ব্যাট করা কতটা চ্যালেঞ্জের। শিশির যখন বলকে কিছুটা নরম করে দিতো তখনই কেবল ব্যাটিং সহজ হয়ে আসতো। আমরা যদি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতাম, তাহলেও চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হতো। এ কারণেই আমরা প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা