প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার ২০৪১ সাল নগাদ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে তাঁর কার্যালয়ে (পিএমও) দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০২১-২০৪১’র ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখার সময় একথা বলেন। খবর : বাসস’র।
আরও পড়ুন : যুক্তরাজ্যের নেভীতে সুযোগ পেল বাংলাদেশের মেহেদী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছি এবং ইতোমধ্যেই আমরা ২০২০ থেকে ২০৪১ সাল নাগাদ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।
সরকার গঠনের পর দেশের দ্রুত উন্নয়ন সাধনে তাঁর সরকার বেশ কিছু তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমরা পঞ্চম এবং ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি দেশে প্রথমবারের মত ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত আমরা দীর্ঘ মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনারও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীতে উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তৃতায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ. মান্নান এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাকে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ‘একটি স্বপ্নের দলিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, ২০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ সাল থেকে শুরু করে আগামী ৪/৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
সিনিয়র সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম একটি পাওয়া পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী এএইচএম মুস্তাফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ড.তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এবং ড. মশিউর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার অনোয়ারুল ইসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ।
উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
ফেসবুক :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা