অনলাইন ডেস্ক
দৃঢ় লক্ষ্য, আত্মবিশ্বাস ও চেষ্টা দিয়ে বানানো ঘরে কখনো ব্যর্থতার গল্প তৈরি হয় না। মাঝে মধ্যে ক্ষনিক সময়ের ব্যর্থতার মোড় সাফল্যের গল্পের রোমাঞ্চ বাড়িয়ে তোলে। এমনি এক রোমাঞ্চকর গল্পের রচয়িতা সিরাজুল্লাহ খাদেম নিপু।
২০০৬ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেয়া বাংলাদেশ দল ক্রিকেট বিশ্বকে উপহার দিয়েছে মুশফিক, সাকিব ও তামিমের মত তারকা ক্রিকেটারদের। কিন্তু এই নামগুলোর মধ্যে আরেকটি নাম ছিলো সিরাজুল্লাহ খাদেম নিপু। যিনি অনেক ছোট বয়সেই সাফল্যের পথে হাঁটা শুরু করেছিলেন। বাঁ-হাতি পেইস অ্যাটাকে আতঙ্ক তৈরীর সাথে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং দক্ষতায় প্রতিপক্ষের মধ্যে ত্রাস তৈরী করতেন এই অলরাউন্ডার।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে জায়গা করে নিয়েছিলেন মোহামেডান দলে। অস্ট্রেলিয়ান প্রাদেশিক প্রতিযোগিতা ডারউইন প্রিমিয়ার লিগে ডামরিন ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগও হয়েছিলো নিপুর। যেখানে পালমারস্টন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৮৮ রান করে ৬ টি উইকেট নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক কোচ শন উইলিয়ামস নিপুকে নিয়ে করা ভবিষ্যৎবানীতে বলেন, নিপু হবে আগামীর তারকা অলরাউন্ডার। বিসিবিরও বিশেষ নজরে ছিলেন এ অলরাউন্ডার।
কিন্তু ভাগ্য এনে দিলো সাফল্যের এই গল্পে ব্যর্থতার মোড়। ২০০৯ সালের ঢাকা লিগের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় মারুতি বল দিয়ে চোখে আঘাত পান নিপু। ইনজুরি তাকে বাংলাদেশের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে দেয় নি। চিকিৎসা সহযোগীতা না পাওয়ার আক্ষেপ, সতীর্থদের এগিয়ে যাওয়া, ভাগ্যের পরিহাসে নিজের পিছিয়ে পড়া ও জীবিকার অনুসন্ধানে নিপু পাড়ি জমান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগালে। সেখানে কাজের পাশাপাশি নিজের প্রিয় কাজ ক্রিকেট খেলা ও চালিয়ে যান তিনি। আর সাফল্যের উপসংহার টেনে আজ নিপু জায়গা কর নিয়েছে পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে। সম্প্রতি ত্রি দেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে পর্তুগালের হয়ে মাল্টার বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায়ে ২ টি উইকেট শিকার করেন তিনি।
নিজের দেশের জার্সিটা গায়ে না দিতে পারার আক্ষেপ থাকলেও, সাফল্যের কাব্য রচনায় সার্থক সিরাজুল্লাহ খাদেম নিপু।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা