বরিশাল রুটে চলাচলকারি এই জাহাজটির মতোই হবে ভোলা রুটের জাহাজ
তাসকিনা ইয়াসমিন
এখন আর শুধু রাতে নয় দিনের বেলায়ও রাজধানী থেকে ভোলায় যাতায়াতের সুযোগ পাবে ভোলাবাসী। নৌপথে এই সুবিধা তৈরি করতে পরিবহন কোম্পানি গ্রীন লাইন নিয়ে আসছে দিনের রুটে জাহাজ সেবা। এর মাধ্যমে ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা পূরণ হবে এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইতিমধ্যে এই রুটে জাহাজ চলাচলের জন্য সরকারি পর্যায়ে অনুমতি মিলেছে। খুব শীঘ্রই এই জাহাজটি যাত্রা শুরু করবে। ঢাকা-টু-ভোলা এবং ভোলা-টু-ঢাকা এই রুটে জাহাজটি চলবে। সকাল সাড়ে সাতটায় ঢাকার লালকুঠি ঘাট থেকে জাহাজটি ছেড়ে যাবে এবং ভোলার ইলশা ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে বেলা দেড়টায়।
আরও পড়ুন: সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘটে যাত্রীদের দুর্ভোগ
এই প্রসঙ্গে গ্রীন লাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ভোলা এবং ঢাকার সঙ্গে দিনের বেলা কোন সার্ভিস নেই। আগে দিনের বেলায় বরিশালে যাবার কোন জাহাজ ছিল না। আমরা গ্রীন লাইনের পক্ষ থেকে জাহাজ চালু করেছি। তখন বরিশালের মানুষেরা এই সার্ভিসটি লুফে নিয়েছে। ভোলাবাসীর জন্যও এই সার্ভিসটি খুব উপকারে আসবে।
তিনি বলেন, ভোলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি কোন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। এটা একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা। এখানে কোন মানুষ অসুস্থ হলে সে দ্রুত ঢাকায় আসতে পারেনা। আমরা স্থানীয় জনগণের আকাঙ্খা এবং প্রশাসনের ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখেই এই জাহাজটি আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা দুপুরে ফেরার জাহাজটি দেড়টায় রেখেছি কারণ, ভোলা জেলা ১২০ কি. মি. এলাকা নিয়ে অবস্থিত। উপজেলা যেমন মনপুরা, চর মনতাজ, কুকরি মুকরি, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন এগুলো থেকে ইলশাঘাট পর্যন্ত আসতে স্থানীয়দের সময় লাগবে। তাই ফেরার জাহাজটি আমরা দুপুরে করেছি। যেন, মানুষের আসতে সুবিধা হয়।
ভোলায় জন্মস্থান রাশিদুল আলম মোল্যা’র। জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এইচ আর ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এই রুটে দিনের বেলায় জাহাজ চলাচলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো একটা উদ্যোগ হবে, কারণ আমাদের রাতে ছাড়া যাওয়ার কোন উপায় নেই, গ্রিন লাইনের এই নৌ সেবা চালু হলে আমাদের জন্য ভাল হবে। দিনে দিনেই গিয়ে আমরা ফেরত আসতে পারব। এবং এর কারণে আগামীতে ভোলায় ব্যবসা বাণিজ্যেও ভালো একটা প্রভাব পড়বে বলে আমরা মনে করি।
ভোলায় জন্ম নেয়া নাহিদ তন্ময় এখন ঢাকায় থাকেন। তিনি বলেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। বর্তমানে ভোলা যাতায়াতে রাতে চলাচলকারী জাহাজের উপরই ভরসা করতে হয়। দিনের রুটে লঞ্চ চালু হলে কম সময়ে যাতায়াত করতে পারব।
২০১৪ সালে বরিশালের জাহাজটি প্রথম দিনের বেলায় চলাচল শুরু করে উল্লেখ করে মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, প্রথমে আমরা বরিশাল রুটে জাহাজটি চালু করি। এসময় যাত্রীদের মধ্যে ভীষণ সাড়া পাই। এটি ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে সকাল আটটায় ছেড়ে যায়। আর ফিরে আসে দুপুুর দুইটা পয়তাল্লিশ মিনিটে। আশা করছি, শীঘ্রই ভোলা রুটের জাহাজটি যাত্রা শুরু করবে।
এই জাহাজটিতে ৬০০ সীট থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই জাহাজে বসার সিস্টেম বিমানের মতো হবে। বরিশাল রুটের জাহাজটিতে ইকোনমি ক্লাস এবং বিজনেস ক্লাস আছে। এটিতেও সেই ব্যবস্থা থাকবে। টিকেটের দামও একই হবে। আমাদের সবগুলো কাউন্টার থেকে এবং পরিবহন ডটকম থেকে অনলাইনে টিকেট কাটা যাবে।
আমাদের এই জাহাজটি এই রুটে চলা সবচেয়ে দ্রুতগামী জাহাজ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাতায়াতের সময় সর্বোচ্চ পাঁচ ঘন্টা লাগতে পারে।
# সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, লাল সবুজের কথা ডটকম।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা