অনলাইন ডেস্ক
ট্রাম্পের অভিযোগ, সংস্থাগুলো মার্কিন বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। ব্যক্তি-স্বাধীনতাও খর্ব করেছে। আমেরিকার আইন অনুযায়ী যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এদিন সুলভ ভঙ্গিতে তিনি ঘোষণা করেন, ‘মার্ক সাকারবার্গ, সুন্দর পিচাই, জ্যাক ডর্সি সকলেই খুব ভালো মানুষ। কিন্তু তাদের সকলের বিরুদ্ধএই মামলা করেছি।’
মিয়ামির ফেডারেল কোর্টে মামলা করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন আইনের ২৩০ নম্বর অনুচ্ছেদের উপর মামলাটি করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে যে আইনে ইন্টারনেটে মন্তব্য এবং তার স্বাধীনতার বিষয়টি যুক্ত হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্প এবং তার রিপাবলিকান সহকর্মীরা এই আইনে বদল আনার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, আইনটিকে নিজেদের সুরক্ষাবলয় হিসেবে ব্যবহার করছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলো।
নিজের মামলার বিষয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প। বুধবার নিউজার্সিতে নিজের মালিকানাধীন গলফ ক্লাবে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এ মামলার মধ্য দিয়ে মার্কিন নাগরিক স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা প্রশ্নে আমরা ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করব।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাট দলের নেতাদেরও সমালোচনা করেছেন।
গত জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে আইনপ্রণেতাদের বৈঠকে নিজের সমর্থকদের দাঙ্গার পর এসব সামাজিক প্ল্যাটফর্মের থেকে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেওয়া হয়। মূলত ওই তাণ্ডবে মদদ দেওয়ার কারণ দেখিয়ে জননিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাম্পের এসব অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
বন্ধের আগে ট্রাম্প টুইটার, ফেসবুক থেকে নিয়মিত পোস্ট দিতেন। ওই সব পোস্টে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ট্রাম্প তার সমর্থকদের নানা ধরনের উসকানি দিয়েছেন।তবে ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের সেন্সরশিপের শিকার। এসব মামলায় তিনি নিজের ওপর আরোপিত সেন্সরশিপ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, এই তিনটি প্রযুক্তি সংস্থা অন্যায়ভাবে তার ও অন্যান্য রক্ষণশীলর বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার আগে পরীক্ষা ও নজরদারি করত।
সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো এবং তাদের সিইও-রা অবশ্য এখনো এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেননি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা