বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে কাগজ কলমে ৫ নম্বর প্লাটফর্ম থাকলেও এটাকে কোনো প্লাটফর্ম বলে মনেই হয় না। স্টেশনের মিটার গেজ লাইনের এই প্লাটফর্ম দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ট্রেনে ওঠা-নামা করলেও প্লাটফর্মটির সংস্কার বা উন্নয়নের ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। এই ৫ নম্বর প্লাটফর্মে যাত্রী ছাউনি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পানি ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা বেষ্টনি না থাকায় ট্রেনযাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে।
সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সান্তাহার-লালমনিহাট ও সান্তাহার-বোনারপাড়া লাইনে চলাচলকারী যাত্রীরা ৫ নম্বর প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বগুড়া জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্টেশনে যাতায়াত করে থাকেন। শুধুমাত্র বগুড়া জেলা সদরেই চাকরিজীবী, আইনজীবী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ শত শত যাত্রী সান্তাহার স্টেশন থেকে যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরে এই প্লাটফর্মে ছাউনি না থাকায় যাত্রীরা রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনের অপেক্ষা করেন। প্রখর রোদ আর বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যাত্রীদের ৪ নম্বর প্লাটফর্মে অবস্থান করতে হয়। ভোরে পদ্মরাগ ট্রেন সান্তাহার স্টেশন থেকে বগুড়ায় যায়। এই ট্রেনেও অসংখ্য যাত্রী চলাচল করেন।
৫ নম্বর প্লাটফর্ম নিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। সমগ্র প্লাটফর্মজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে গরু-ছাগলসহ মানুষের মলমূত্র। মেঝে সংস্কার না করায় এখানকার ইট-খোয়া উঠে গিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এ ছাড়াও প্লাটফর্মে আলোর ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। যে কারণে মেয়েরা রাতে অত্যন্ত ভয়-ভীতির মধ্য দিয়ে ট্রেনে যাতায়াত করেন। অন্ধকারে কিছু দেখা না যাওয়ায় পায়ে নোংরা নিয়ে যাত্রীদের বাড়ি ফিরতে হয়।
মিটার গেজের প্লাটফর্মে কোনো বসার ব্যবস্থা নেই। আবার এ প্লাটফর্মের দক্ষিণ পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য থাকা ম্যানহোলের ঢাকনাগুলো ভেঙে গেছে। ফলে তাড়াহুড়োয় অনেক যাত্রীই ভাঙা ম্যানহোলে দুর্ঘটনার শিকার হন।
সান্তাহারের সচেতন নাগরিক মোজাম্মেল হক বলেন, রেলওয়ে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ের প্রধান কাজ যাত্রীদের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করা। কিন্তু রেলওয়ের কর্তা ব্যক্তিদের অবহেলা এবং কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে রেলওয়ে ধ্বংসের পথে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে সান্তাহার স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, ৫ নম্বর প্লাটফর্মটি উঁচু করা ও যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে।
NB:This post is copied from kalerkantho.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা