অনলাইন ডেস্ক
বারান্দা হতে পারে বাসার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। বারান্দার রোদ্দুরে আরাম কেদারায় বসে গরম দুধ ছাড়া চায়ে চুমুক দিতে দিতে পত্রিকার পাতায় চোখ বোলানো । মন ভাল হয় না, কে বলেছে?
সন্ধ্যা পেরিয়ে অনেক সময় গেছে, এখন রাত আধারে বারান্দায় পাবেন ‘গথিক গন্ধ’।
অষ্টাদশ শতকের ভৌতিক রোমান্টিক সাহিত্য কি ফিরে এল অন্ধকার বারান্দায়, এ কেমন ভুতুরায়ন?
বরং সারাদিনের ক্লান্তি শেষে বারান্দায় বসে প্রিয় লেখকের বই পড়া নয়ত গান শোনা। অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে শুনি “আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব/সারারাত ফোটাক তারা নব নব।’
অতিমারির এই সময়ে এই বারান্দা হতে পারে এক স্বস্তির জায়গা। কিন্তু বারান্দায় জঞ্জাল, পুরনো আসবাব, ঘটি–বাটি, কাপড় রেখে দিলে তা হয়ে উঠবে নিরানন্দের জায়গা।
খুব দামী আসবাব আর অনেক দামের জিনিষ এনে বারান্দায় রাখবেন তা নয়। বদলে দেবার দরকার নেই এর কাঠামো। আপনার শিল্পী মনের মাধুরী মিশিয়ে দিতে পারেন বারান্দার সৌন্দর্য্যে। দেয়ালে থাক পছন্দের স্টিকার, ছবি নয়তো মুখোশ। মনে পড়ে যাবে সেই কবে চারুকলার বর্ষ শুরুর মিছিলে মুখে মুখোশ লাগিয়ে পদব্রজ। আর দেয়ালে ঝোলাতে পারেন একাধিক গাছ, প্লাস্টিকের নয়, টাটকা সতেজ গাছ। টবের মাটিতে গজাবে দূর্বা ঘাস। গাছে গাছে রঙ্গিন ফুল, পাতা বাহার, বনসাই আর মানি প্লান্ট। সৈকত থেকে কুড়িয়ে আনা নুড়ি পাথরগুলো সাজিয়ে দিন সিরামিক বা মাটির টবে। কাঁচের বোতলে থাকতে পারে গাছ। আর থাকবে রঙ্গিন ফ্লোর কুশন, মন চাইলে কার্পেট। একপাশে থাকুক মোড়া আর ছোট টেবিল।
বারান্দায় বসে মনে আসে কত সুখ স্মৃতি। হোক বসন্ত নয়তো হেমন্ত—প্রতি ঋতুতেই অনেক সুখের স্মৃতি জমবে এখানে। সামনে নিস্তব্ধ নীল আকাশ, তারা ফোঁটে ওইখানে, জোনাকিরা জ্বলে ভালোবেসে।
মন ভালো হবে না?
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা