অনলাইন ডেস্ক
তবে আমরা অনেকেই জানি না উভয়ের পার্থক্যটি আসলে কোথায়! এখন এটা জানতে হবে যে ব্রাউন চিনি স্বাস্থ্যকর না-কি সাদা চিনি? আসুন আমরা জেনে নেই এই প্রশ্নের উত্তর।
বাদামী চিনি কী?
মূলত আখের রস থেকে চিনি প্রস্তুত করা হয়। প্রাথমিকভাবে যে চিনি প্রস্তুত হয় সেটিই আসলে ‘র-সুগার’ অর্থ্যাৎ ‘বাদামি চিনি’। তাই এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও বেশি। অন্যদিকে, ব্রাউন চিনি মূলত রাসায়নিকভাবে পরিশোধনের পর সেটি সাদা রঙের হয়ে থাকে। যেহেতু চিনির রঙ পরিবর্তনের হেতু রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় সে কারণেই সাদা চিনি অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
উপকারিতা:
আমরা যদি বাদামী চিনির পুষ্টিগুণ নিয়ে কথা বলি তাহলে অবশ্যই বলতে হবে এতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা সাদা চিনিতে নেই। এবং এটি প্রমাণিত হয়েছে যে সাদা চিনিতে এই খনিজগুলোর পরিমাণ বাদামি চিনির তুলনায় খুবই কম। যা ব্যবহার করে আপনি কোনো স্বাস্থ্যগুণ পাবেন না।ক্যালোরি অনুযায়ী সাদা ও বাদাম চিনিতে পার্থক্য রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, এই দু’ধরনের চিনির মধ্যে স্বাদ, রঙ এমনকি পুষ্টিগুণেরও পার্থক্য রয়েছে। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকেশনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১চা চামচ বাদামী চিনিতে রয়েছে ১৭ কিলোক্যালোরি এবং ১চা চামচ সাদা চিনিতে রয়েছে ১৬ কিলোক্যালরি।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি :
পরিসংখ্যান বলছে যে, বাদামী চিনিতে ৯৫ শতাংশ সুক্রোজ (সাদা চিনি) এবং ৫ শতাংশ গুড় আছে যার অর্থ সাদা চিনিতেও এটি সমানভাবে রয়েছে। তাই স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনুসারে, বাদামি চিনিও ডায়াবেটিক রোগী ও মুটিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিদের জন্য সমানভাবে ক্ষতিকর।
কৃত্রিম চিনি:
বর্তমানে আমরা অনেকে সাদা বা বাদামী চিনির পরিবর্তে কৃত্রিম চিনি খেয়ে থাকি। অনেকেই আমরা চিনির বিকল্প হিসেবে ‘জিরোক্যাল’ পণ্যটি চিনি। বাজারে এর কদরও রয়েছে অনেক। তবে চিনির পরিবর্তে যে মিষ্টিজাতীয় উপাদানটি আমরা ব্যবহার করি সেটিও যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তা কিন্তু নয়। কারণ এতেও রাসায়নিক উপাদান দ্বারা তৈরি হয়। স্যাকারিন ও অ্যাসপার্টেমের সংযোজনে বিকল্প চিনি প্রস্তুত করা হয়। যদিও এতে এফডেএ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে। তবুও এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
একটি সুস্থ জীবনধারার জন্য আপনাকে অবশ্যই খাদ্য সচেতন হতে হবে। কারণ বেশিরভাগ খাবারই হয়ত আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না। বরং এসব খাবার আপনার শারীরিক সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অবশ্যই চিনি খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণ বজায় রাখা উচিত। অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করুন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা