অনলাইন ডেস্ক
নকআউট পর্বে যেতে হলে কোনোভাবেই হারা চলবে না, এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পর্তুগাল ৩০তম মিনিটেই এগিয়ে যায়। মৌতিনহোর ফ্রি-কিক ফ্রান্সের পেনাল্টি অঞ্চলে ঢুকলে হেড নিতে যান দানিলো। বলে মাথাও ছুঁয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পেছন থেকে বল ঠেকাতে গিয়ে পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের মুখে ঘুষি মেরে বসেন ফরাসি গোলরক্ষক হুগোব লরিস। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর তা থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদো।
ম্যাচের শুরুতে দলকে এগিয়ে নেওয়া ওই গোলে নতুন এক ইতিহাস গড়েন রোনালদো। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে ২০ গোলের মালিক হন তিনি। পরে তাতে যোগ হয় আরও একটি। এছাড়া শুধু ইউরোর ইতিহাসেও সর্বোচ্চ গোলের (১৪টি) মালিক তিনি।
এগিয়ে থাকার স্বস্তি অবশ্য দীর্ঘায়িত হয়নি পর্তুগালের। বিরতির ঠিক আগে বল দখলের লড়াই করতে গিয়ে নিজেদের বক্সে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ফেলে দেন সেমেদো। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। কিন্তু পর্তুগালের খেলোয়াড়রা রেফারির দিকে তেড়ে যান। পরে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। যদিও রিপ্লে দেখে সেমেদোকে নিরাপরাধ বলেই মনে হতে পারে। পরে পেনাল্টি শটে পর্তুগিজ গোলরক্ষক প্যাত্রিসিওকে পরাস্ত করেন ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ান বেনজেমা। পল পগবার থ্রো বল প্রতিপক্ষের রক্ষণ উন্মুক্ত করে দিলে দৌড়ে গিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের স্ট্রাইকার বুলেটগতির শট নেন। বল বাঁদিকের পোস্টে লেগে লাফিয়ে জালে ঢুকে যায়। যদিও প্রথমে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল করা হয়, কিন্তু পরে ভিএআর দেখে গোলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
পিছিয়ে পড়ার পর ফের পর্তুগাল পেনাল্টি উপহার পায়। লেফট উইং ধরে বক্সে ক্রস দেন রোনালদো। তার প্রথম প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন কুন্দে, কিন্তু বল পর্তুগিজ উইঙ্গারের কাছেই ফিরে আসে। তিনি আবারও ক্রস দেন এবং এবার ফরাসি ডিফেন্ডারের হাতে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে পর্তুগাল পেনাল্টির দাবি জানায় এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর রেফারি তাদের দাবি মেনে নেন। এবারও প্রথমবারের মতোই গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন রোনালদো এবং সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেলেন ইরানি কিংবদন্তি আলী দায়ির গড়া সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলের (১০৯ গোল) রেকর্ড।
৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে ফ্রান্স। অন্যদিকে একই রাতে হাঙ্গেরির সঙ্গে ড্র করেও দ্বিতীয় স্থান নিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে জার্মানি। অপরদিকে জার্মানির সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তিনে পর্তুগাল। তবে ছয় গ্রুপের তিনে থাকা সেরা চার দলের একটি হিসেবে নকআউট পর্বে পা রেখেছে পর্তুগিজরাও।
গতবারও সেরা দলগুলোর একটি হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছিল পর্তুগাল, জিতেছিল শিরোপা। সে আশায় এগিয়ে যাওয়ার পথে আগামী রোববার (২৭ জুন) শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ফের্নান্দো সান্তোসের দল।আর ফ্রান্স নকআউট পর্বে খেলবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর জার্মানি খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা