অনলাইন ডেস্ক
আজ এক বিবৃতি দিয়ে আমেরিকার সেনাবাহিনী বলেছে, ‘‘দক্ষিণ চিন সাগরের উপরে সামরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত অনুশীলন শুরু করেছে আমেরিকা। তার মধ্যে রয়েছে সমুদ্রপথে অভিযান চালানোর মহড়া ও সেনা ও বায়ুসেনার মধ্যে কৌশলগত বোঝাপড়ার প্রশিক্ষণ। এটি সেনার নিয়মমাফিক মহড়ার অংশ।’’ বস্তুত, গত কয়েক বছরে দক্ষিণ চিন সাগরে ঘন ঘন অনুশীলন চালাচ্ছে পেন্টাগন। যা প্রতিপক্ষের শক্তি প্রদর্শনের ছল বলে দাবি চিনের। বিপরীতে আমেরিকারও পুরনো অভিযোগ, ওই অঞ্চলে বেআইনি ঘাঁটি তৈরি করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে বেজিং। সদ্য শেষ হওয়া জি ৭ বৈঠকে সে প্রসঙ্গ ওঠায় ফের এক দফা সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে এই আবহ তৈরিতে চিনের ভূমিকাও কম কিছু না। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, কানাডা ও ইটালির মতো জি ৭-ভুক্ত দেশগুলির জোটকে আক্রমণ করে দিন দু’য়েক আগেই চিন বলেছে, ‘‘ছোট একটি গোষ্ঠী সারা বিশ্বকে চালনা করতে পারে না।’’ যার পর পরই গত কাল ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটোনবার্গ বলেছেন, ‘‘চিনের উত্থান আমাদের নিরাপত্তার জন্য যে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, জোট হিসেবে তার মোকাবিলা করা দরকার।’’ ন্যাটো প্রধানের বক্তব্য, বেজিং অত্যন্ত আগ্রাসীভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের ভাঁড়ার তৈরির পথে এগোচ্ছে। এবং সাইবার যুদ্ধের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে যা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে ক্ষতিকর। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানান, চিনের একাধিপত্য ও ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আজ চিন ন্যাটোর বক্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেছে, ‘‘সব কথাকেই অতিরঞ্জিত করে চিনের হুমকি বলে দেগে দেওয়া বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এবং চিনের বৈধ স্বার্থ ও আইনি অধিকার প্রয়োগের প্রসঙ্গ এলেই রাজনীতি করে সংঘাতের ভুয়ো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা বন্ধ হোক।’’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা