অনলাইন ডেস্ক
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মোট সাত ধরনের ভাইরাসের কারণে আমাদের সর্দি-জ্বর হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, ঝড়-বৃষ্টির সময় যদি একান্তই বাড়ি থেকে বের হতে হয়, ছাতা নিয়ে বেরোন। আর তা না করতে পারলে বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত বাইরে বার হবেন না। যদি মাঝ রাস্তায় বৃষ্টি নামে তাহলে কোনো ছাউনির নিচে গিয়ে আশ্রয় নিন। কোনোভাবেই করোনা আবহে বৃষ্টিতে ভিজবেন না।
কেন বৃষ্টি ভিজতে ভেজা যাবে না, এমন প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর হতে পারে। এখন করোনা সংক্রমণ চলছে। কাজেই আকাশে বৃষ্টি দেখলেই মনটা যেন নেচে না ওঠে। ভুলেও বৃষ্টিতে আচমকা ভিজতে যাবেন না। মনে রাখবেন এখনো করোনা সংক্রমণ পুরোদমে চলছে। এখনো হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে। তাই মনের আনন্দ নিরসনের জন্য বৃষ্টি ভিজে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনতে যাবেন না।’
তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন সামান্য জ্বর আপনার জীবনে বড় রকমের ঝুঁকি ডেকে নিয়ে আসতে পারে। এই বৃষ্টি ভিজে যে জ্বর হয় সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস কিংবা এন্টেরো ভাইরাস থেকে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর এলে তা বাড়াবাড়ির আকার ধারণ করতে পারে। শেষ পর্যন্ত নিউমোনিয়া হতে পারে। কাজেই হালকা হওয়া ও বৃষ্টি দেখলেই খোলা বারান্দা বা খোলা আকাশের নিচে যাবেন না। মনে রাখবেন, এখনো প্রবল করোনা সংক্রমণ চলছে।’
চিকিৎসকরা শিশুদেরও এই বৃষ্টি ভেজা থেকে বিরত থাকতে বলছেন। শিশু চিকিৎসক নির্মাল্য চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘সাধারণ বৃষ্টিতে ভিজে শিশুদের যে জ্বর আসে তাতে শিশুদের ফুসফুসের উপরিভাগে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে মিউকাস মেমব্রেনটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এই শক্তিশালী মিউকাস মেমব্রেন অনেক জীবাণু থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সক্ষম। কিন্তু মিউকাস মেমব্রেন দুর্বল হয়ে গেলে বাইরের জীবাণুকে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করা আটকাতে পারে না। এই সুযোগে আঘাত হানতেই পারে করোনা।’
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা