অনলাইন ডেস্ক
একই সঙ্গে সোমবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনার ওপর আক্রমণকারী ও হেনস্তাকারীদের বিচার দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধনে বানাসাস নেতৃবৃন্দ এই দাবি করেন।
এ ছাড়া এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেটা প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। তারা বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতার পথ রোধ করা যাবে না।
নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সংগঠনের সভাপতি সভাপতি নাসিমা আক্তার সোমা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সচিবালয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ভেতরে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। তার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা অপ্রত্যাশিত এবং অত্যন্ত লজ্জাজনক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আটকে রাখা, হেনস্তা করা, চিকিৎসা না করে থানায় হস্তান্তর করা ও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট মামলার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। এমন ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশকে যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন সরকারের প্রশাসনের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা অপশক্তি বারবার তাদের নিজস্ব দূর্নীতির মাধ্যমে বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক হবার জন্য দূর্নীতির আশ্রয় নেয়া আর সরকার বিদ্বেষি চেতনার পরিস্ফুটনের বিষয় সাধারন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকারি দলকে বর্ম হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে। এসব দুষ্ট চক্রকে চিন্হিত করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেয়া আজ সরকার আর জনগনের স্বার্থে জরুরী হয়ে উঠছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে যেখানে সবাই একসঙ্গে লড়বে সেখানে সাংবাদিককে হেনস্তা ও আটক কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দেন বানাসাস সভাপতি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে নাসিমা আক্তার সোমা বলেন, যারা নির্যাতন করেছেন তাদের দিয়েই কমিটি করা হয়েছে। তিনি এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান।
তিনি বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা থামিয়ে দেওয়া হলে সংবাদপত্রে বাক স্বাধীনতা খর্ব হবে।
সাধারণ সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেখানে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের সাংবাদিক হয়রানি করতে উৎসাহ দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, রোজিনা ইসলামের জামিন ও মামলা প্রত্যাহার না হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে। এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক লাবিন রহমান, সদস্য সাবিরা ইসলাম, নির্বাহী সদস্য দীপা ঘোষ রীতা, ফারহানা হক শিমুল, হালিমা খাতুন, শাহীন আরা ইয়াসমিন, সালমা আফরোজ, সোনিয়া আক্তার, মিতু, নাহার আক্তার, আফরোজা আক্তার শেলী, রহিমা খানম, উর্মি আক্তার প্রমুখ।
একাত্মতা প্রকাশ করে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি’র চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, বাংলাদেশ জার্নলিস্ট ফোরামের সভাপতি শাহিদুল ইসলাম, জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব নাসির উদ্দীন বুলবুল, মিডিয়া জার্নালিস্ট ক্লাব অব বাংলাদেশ’র সভাপতি বাদল চৌধুরী, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাংবাদিক জোটের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাপ্তাহিক গেরিলার নির্বাহী সম্পাদক গাজী তুষার আহমেদ বাঘা, সিনিয়র সাংবাদিক শাহজাহান শাহিম প্রমুখ।
উপস্থিত সকলে রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, রোজিনা ওপর জুলুমকারীদের বিচার চাই, শাস্তি চাই। মুক্ত সাংবাদিকতায় বাধা যত কালাকানুন আছে সব বাতিল চাই। তারা অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট বাতিল ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের দাবি জানান। রোজিনাকে মুক্তি দিতে হবে। সব বিভেদ ভুলে এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে। সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। তারা রোজিনাকে হেনস্তাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা