বুলবুলের আঘাতে বিপর্যস্ত পরিবারের আসবাবপত্র।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র তাণ্ডবে তিন জেলায় ঘর ও গাছচাপা পড়ে নারীসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ের আঘাতে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কিছু এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে।
বুলবুলের আঘাতে যারা মারা গেছেন তারা হলেন – পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রামের হামেদ ফকির (৬০), খুলনার দাকোপ উপজেলার দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের সুভাষ মণ্ডলের স্ত্রী প্রমিলা মণ্ডল (৫২), খুলনার দিঘুলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩৫) ও সদর উপজেলার বানাই গ্রামের হালিমা খাতুন (৬৬)।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আনোয়ার হামেদ ফকির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঘুর্ণিঝড়টি ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাই ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত নামানো হয়েছে। মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এরপর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য আর কোনো বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোর ছয়টায় খুলনা উপকূল অতিক্রম করেছে ঘুর্ণিঝড় বুলবুল। এই ঘুর্ণিঝড়টি বর্তমানে খুলনা এবং খুলনা ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে এটি ক্রমশ দুর্বল হবে।
ভােরে প্রবল ঘুর্ণিঝড়টি সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হেনেছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলা।ঝড়ে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাচা ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মাছের ঘের ভেসে গেছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা