অনলাইন ডেস্ক
ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টাও পার হয়নি। অথচ এরই মধ্যে বিতর্কিত এই লিগ যেন দেখছে মুদ্রার উল্টো পিঠ। নাম লেখানোর পর সেখান থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ডের সবগুলো ক্লাব।
গত রোববার রাতে এতে যোগ দেওয়া ১২টি ক্লাব উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়৷ এর মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেরই ছয়টি দল; ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, আর্সেনাল, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পার৷
স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদ এবং ইতালির ইউভেন্তুস, ইন্টার মিলান ও এসি মিলান -এই ছয় দল এই টুর্নামেন্টের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে৷
প্রতিযোগিতাটি থেকে সরে দাঁড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় এবারের প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সিটি ও সাত নম্বর দল টটেনহ্যাম৷
বিবিসি, রয়টার্সসহ অনেকগুলো সংবাদমাধ্যমে ইংল্যান্ডের ছয় দলের সরে যাওয়ার খবর দিয়েছে৷
ম্যানচেস্টার সিটি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, সুপার লিগ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহারের কাজ শেষ করেছে ক্লাবটি। সুপার লিগে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়ায় ক্ষমা চেয়েছে আর্সেনাল।সুপার লিগে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে অনুতপ্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন টটেনহ্যাম হটস্পারের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি।
লিভারপুল তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিদ্রোহী টুর্নামেন্টে জড়িত থাকার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। তারা এর সুপার লিগের অংশ নয়।
মূলত বিশ্বব্যাপী প্রবল সমালোচনা ও বিরোধিতার কারণেই দলগুলো সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলাফল, ইউরোপিয়ান সুপার লিগের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বাকি ছয় ক্লাব এখনও সরে না আসলেও, খুব শিগগিরই সরে আসবে, এমনটাই শোনা গেছে।