অনলাইন ডেস্ক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্বে ইরানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
এর মধ্য দিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপিয়ে দেওয়া দুটি প্রতীকী বড় পদক্ষেপ উল্টে দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার অবসান না ঘটালে পরমাণু স্থাপনায় জাতিসংঘের পরিদর্শকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করতে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার তিন দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব এসেছে।
ইউরোপীয় শক্তিগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এটি হবে বিপজ্জনক পদক্ষেপ।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিতে পি৫+১-এর বৈঠকে অংশ নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধির আমন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করবে।
পি৫+১ বলতে এখানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতার পাঁচ দেশ ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের বাইরে ইউরোপের দেশ জার্মানিকে বোঝানো হয়েছে।
২০১৫ সালে ইরানকে অর্থনৈতিক চাপ থেকে স্বস্তি দেওয়ার বিনিময়ে পরমাণু চুক্তিতে সই করেছিল তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এসে এই চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়। পরে দেশটির পর নির্বিচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে গেছেন।
নতুন প্রস্তাবের পর এখন দেখার বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান বসতে আগ্রহী হয় কিনা। চুক্তিতে পুরোপুরি ফিরে যাওয়ার আগে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে ইরান।
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, বাইডেন প্রশাসন সততা দেখিয়ে আসছে। পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসার দীর্ঘ পথে এগিয়ে যেতে তারা একটি বৈঠকে বসতে চাচ্ছে। ইরান যদি তাতে অনিচ্ছুক হয়, তবে সেটি দুর্ভাগ্য বলা যাবে।