শুক্রবার থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করা হবে। এ উপলক্ষে বিআরটিএ থেকে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আইনটি কার্যকর করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
৭৯ বছরের পুরানো মোটরযান অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন এ আইনে বেপরোয়া গাড়ি চালকের কারণে মৃত্যু হলে চালক সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আর যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চালক বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটায়, তাহলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আইনটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। ফলে শুক্রবার (১ নভেম্বর) থেকে এটি কার্যকর করতে কোন বাধা নেই।
এর আগে দীর্ঘদিন থেকে আইনটি মন্ত্রণালয়ে কার্যকরের অপেক্ষায় ঝুলে ছিল। গত বছর ঢাকায় বাসচাপায় দুই ছাত্র-ছাত্রীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে আগের আইন কঠোর করে ২০১৮ সালে এই আইনটি করা হয়েছিল। গত বছর আগস্টে আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সরকার। জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর গত বছরের ৮ অক্টোবর ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’-এর গেজেট প্রকাশ হয়।
নতুন আইনে যে শাস্তি রয়েছে
মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত বা নিহত হলে এ সংক্রান্ত অপরাধ দণ্ডবিধি-১৮৬০-এর এ সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
তবে দণ্ডবিধির ৩০৪বি ধারাতে যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত বা নিহত হলে চালক সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আইনের ১১৪ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ইত্যাদির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি (১৮৯৮) প্রযোজ্য হবে। কিন্তু গেজেট প্রকাশের পরও আইনটি কার্যকর না হওয়ায় আদালতে রিট আবেদনও হয়েছিল।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা