অনলাইন ডেস্ক
এদিকে, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে ইভিএম মেশিন ভাঙচুরের অভিযোগে ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার বেলা ১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে পাহাড়তলী উপজেলায় পৃথক সহিংসতার এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লার সুলতান মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন ও পশ্চিম নাছিরাবাদ বার কোয়ার্টার এলাকার নিজাম উদ্দীন মুন্না।
সকালে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ইউসেপ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুল ভোট কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের সময় আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ওই ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাহামুদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন আলাউদ্দিন। তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এদিকে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরের পাহাড়তলী থানাধীন পশ্চিম নাছিরাবাদ বার কোয়ার্টার এলাকায় এক ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আরেক ভাই। দুই ভাই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাইয়ের মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। নিহতের নাম নিজাম উদ্দীন মুন্না। অভিযুক্ত তার ভাই সালাউদ্দীন কামরুল। এদের মধ্যে নিজাম উদ্দীন মুন্না সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমদের সমর্থক ও অভিযুক্ত সালাউদ্দীন কামরুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থক।
পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, নিহতের ভাই সালাউদ্দীন কামরুল ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানতে পেরেছি। মুন্না ও সালাউদ্দীন কামরুলের মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন।
নির্বাচনে মোট ২৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন। মেয়র পদে ৭ প্রার্থী হলেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন।
এছাড়া, মিনার প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম, চেয়ার প্রতীক নিয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও হাতি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে খোকন চৌধুরী নির্বাচন করছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা