অনলাইন ডেস্ক
যদিও ওই ব্যক্তি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
গত ১৬ অগাস্ট ছবি দুটি প্রকাশ করে আইএস এর অনলাইন তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
জানা গেছে, প্রকাশিত ছবির ব্যক্তির নাম সোহেল রানা (৩৮)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের শিলাসী গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেমের বড় ছেলে।
আইএসের প্রকাশিত দুটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ছবিতে গেরুয়া রঙের গেঞ্জি পরে সোহেল দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর মাথা ন্যাড়া। গলায় দুটি বড় পুঁতির মালা। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ন্যাড়া মাথার গেরুয়া পোশাক পরা এক ব্যক্তি জঙ্গলে পড়ে রয়েছেন।
সাইট ইন্টেলিজেন্সের শিরোনামে বলা হয়েছিল, রাজধানীর উত্তরে আইএস জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ঢাকার উত্তর পাশে রয়েছে গাজীপুর। জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমীবাজার এলাকার লোকজন ছবি দেখে সোহেলকে শনাক্ত করেন। তারা জানান, সোহেল দুই বছর ধরে বরমীবাজার এলাকায় থাকতেন। বাজারে ঘুরে ফিরে আংটি, চুড়ি, তাবিজ বিক্রি করতেন। তার পোশাক ছিল বিচিত্র। বাজারের একটি সেলুনে তিনি রাত যাপন করতেন।
ওই সেলুন মালিক নিরু জানান, বাজারের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতেন সোহেল। রাত হলে বেশির ভাগ সময় তার সেলুনে এসে ঘুমাতেন। তবে গত কোরবানির ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে তিনি আর আসেন না। তার বাড়ি গফরগাঁওয়ের শিলাসী গ্রামে।
সোহেলের বাবা আবুল কাশেম জানান, পারিবারিক ভাবে তারা মাইজভান্ডারীর অনুসারী। বছর ১৫ আগে সোহেলও মাইজভান্ডারীর মুরিদ হন। নামের সঙ্গে মাইজভান্ডারী যোগ করেন। এরপর থেকে সোহেল মাজারে মাজারে থাকতেন। সর্বশেষ গাজীপুরের বরমীবাজার এলাকায় ছিলেন। সেখানে তাবিজ বিক্রি করতেন। এক-দুই মাস পর পর বাড়িতে যেতেন।
তিনি আরও জানান, করোনার সময় বাড়িতে মাসখানেক ছিলেন সোহেল। গত ঈদ-উল-আজহার এক সপ্তাহ আগে বরমীবাজারে ফিরে যান। ঈদের দিন বাড়িতে আসার কথা ছিলো। কিন্তু আসেননি। ফোনও বন্ধ। ছেলে কোথায় আছে তা তিনি জানেন না।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, সাইট ইন্টেলিজেন্সের প্রকাশিত ছবিটি ধরে তারা তদন্ত করছেন। এরই মধ্যে ওই ব্যক্তির একটি জাতীয় পরিচয়পত্র তারা পেয়েছেন। সেটি যাচাই-বাছাই করছেন।
তিনি আরও জানান, ঢাকার পল্টন ও নওগাঁর সাপাহারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সিলেট থেকে নব্য জেএমবির যে ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের নিকট থেকে এ বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন। প্রকাশিত ছবির ব্যক্তিটিকে হত্যা করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সিটিটিসি এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, তাঁর লাশ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা