অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর বনানীতে প্রকল্প অফিসে প্রায় সাড়ে ছয়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণের লক্ষ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে একথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
চুক্তিপত্রে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় ঘোষাল স্বাক্ষর করেন।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং জাইকার বাংলাদেশ অফিস প্রধান ইউহো হায়াকাওয়া ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। দু’দেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেল রুট-৬ জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়া জাপানের আর্থিক সহায়তায় নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ২য় কাঁচপুর, ২য় মেঘনা ও ২য় গোমতী সেতুর।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করণে জাপানের অর্থায়ন ইতোমধ্যে নীতিগত অনুমোদন হয়েছে বলে মন্ত্রী এ সময় জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবে করোনা আক্রান্ত জনবলের চিকিৎসায় দুটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলের নির্মিত ভায়াডাক্টের উপর রেললাইন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মানুষের দুর্যোগ এবং কষ্টের সময় পাশে না দাঁড়িয়ে কথামালার ধারা বর্ষণ করে যাচ্ছে।
বন্যা দুর্গত মানুষের সহায়তায় সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টা তুলে ধরে তিনি বলেন, পানিবন্দী মানুষের মানবিক সহায়তার পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন ও কৃষিখাতসহ বিভিন্ন খাতে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে নেয়া হচ্ছে গুচ্ছ পরিকল্পনা।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় স্বার্থে সরকার যে কোনো গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। বিরোধী দলের কেউ কেউ সামাজিক গণমাধ্যম এবং দেশ-বিদেশে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা যুক্তিসঙ্গত নয়, এটি প্রকারান্তরে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সামিল।
প্রসঙ্গত, জাপানের অর্থায়নে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ২৩টি জেলায় ছোট ও মাঝারি ৬১টি সেতু নির্মাণে ইতোপূর্বে গ্রহণ করা হয় ওয়েস্টার্ণ বাংলাদেশ ব্রিজ ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ২৫টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এবং ৩৫টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হতে চলেছে।
নতুন করে ২১টি সেতু নির্মাণের উদ্যোগের ফলে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে অর্থ সাশ্রয় হবে এবং ভ্রমণ সময় কমে আসবে।
চুক্তিসাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার হোসেনসহ প্রকল্প কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা